ঘুষ নিয়েছেন মোদীর মন্ত্রিসভার সদস্য, সুপ্রিম কোর্টে বিস্ফোরক অভিযোগ সিবিআই অফিসারের
সিবিআই ঘুষ মামলায় নাম উঠেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার এক সদস্যের। স্পষ্ট করে বললে ঘুষের টাকার ভাগ পেয়েছেন কয়লা ও খনি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হরিভাই পার্থিভাই, এমনই অভিযোগ উঠেছে।
অলোক বর্মা ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে শোরগোল চলছে। এর মধ্যে নাম জড়িয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের। তিনি নাকি অভিযুক্ত আর এক সিবিআই অফিসার রাকেশ আস্থানার তদন্তে প্রভাব খাটিয়েছেন। তদন্ত ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এমনই অভিযোগ করেছেন সিবিআইয়ের ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল এমকে সিনহা। তাঁর দাবি, ডোভাল রাকেশ আস্থানার বাড়িতে হওয়া তল্লাশিতেও হস্তক্ষেপ করেন।
এসবের মাঝেই তিনি নাম নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার এক সদস্যের। যার ফলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। স্পষ্ট করে বললে ঘুষের টাকার ভাগ পেয়েছেন কয়লা ও খনি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হরিভাই পার্থিভাই চৌধুরী। যিনি আবার গুজরাতের মানুষ ও প্রধানমন্ত্রীর কাছের বলে পরিচিত।
এমকে সিনহা সুপ্রিম কোর্টে জমা করা অভিযোগে বলেছেন, এবছরের জুন মাসে মইন কুরেশি মামলায় ঘুষের টাকার ভাগ যা কয়েক কোটি টাকা তা পকেটে গিয়েছে মন্ত্রী হরিভাইয়ের।
সুপ্রিম কোর্টে সিনহা যে অভিযোগ করেন তার মর্মার্থ হল, ডোভাল রাকেশ আস্থানার বাড়িতে হওয়া তল্লাশিতেও হস্তক্ষেপ করেন। গত অক্টোবরে রাকেশ আস্থানা মামলার তদন্তকারী আধিকারিকদের একজন হলেন এই সিনহা। তাঁকেও বদলি করে দেওয়া হয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, এই ঘটনায় জড়িত দুই ব্যক্তি ব্যবসায়ী সানা সতীশ বাবু ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হরিভাই চৌধুরী ডোভালের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
ঘটনা হল, হরিভাই চৌধুরী গুজরাত থেকে সাংসদ হয়েছেন। এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও পরিচিত এবং কাছের মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে গোটা ঘটনা পরিচালিত করা হবে বলে সিনহা নাকি কানে শুনেছেন। সেদিনই এতজন সিবিআই আধিকারিককে বদলি করে দেওয়া হয়। আদালতে এমনই দাবি করেছেন এই সিবিআই অফিসার।