লকডাউনেও বাড়ছে সংক্রমণ, দেশে করোনা আক্রান্ত ১৩ হাজার ৩০০!
ভারতে একের পর এক মানুষের প্রাণ নিচ্ছে করোনা ভাইরাস। এদেশে করোনার শিকার মোট ৪৩৭, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৩,৩৮৭। ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে দেশের ৬৪০টি জেলার মধ্যে ১৭০টি জেলাকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
দেশে করোনার জেরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র
দেশের মধ্যে করোনার জেরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। ইতিমধ্যে সেই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে হাজারের গণ্ডি। এর মধ্যে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত মুম্বই। তারপরেই সব থেকে বেশি সংখ্যক আক্রান্ত হয়েছে সেরাজ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর পুনে। মহারাষ্ট্রে প্রায় ৩ হাজার ২০০ জন করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত।
মুম্বইতে করোনা আক্রান্ত ২০০৩
এদিকে মুম্বইতে এখন শ্মশানের নিস্তব্ধতা। মহারাষ্ট্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রয়েছে বাণিজ্যনগরীতেই। সেখানে ২ হাজারের বেশি জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সেখানে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওই মারণ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩৪ জনের।
ধারাভিতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা
এছাড়া মুম্বইয়ের সব থেকে বড় আতঙ্কের কারণ এখন ধারাভিতে করোনার সংক্রমণ। ধীরে ধীরে এবার করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি ধারাভিতে। এর জেরে সেখানে মোট ৫৫ জন এখনও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মারা গিয়েছেন ৭ জন। এই পরিস্থিতিতে ১০ লক্ষের বাসস্থান এই বস্তিতে দ্রুত করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এবং তা হলে মুম্বই তো বটেই, গোটা দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
সিল করা হয়েছে ধারাভি
সূত্রের খবর, ঘনবসতি পূর্ণ এলাকা হওয়ায় ওই অঞ্চলে খুব তাড়াতাড়ি করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে ওই বস্তি এলাকার পুরোটাই "সিল" করে দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা ৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে থাকা ওই বস্তিতে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকেন কমপক্ষে ১০ লক্ষ মানুষ, ফলে দ্রুত হারে ছড়াতে পারে সংক্রমণ।
বর্ধিত লকডাউনে সংক্রমণ বেড়ে চলেছে
এদিকে দেশে গত তিন সপ্তাহ ধরে চলছে লকডাউন। তবে সেই সময়কালে ক্রমেই দেশে আরও বিস্তার ঘটেছে করোনা সংক্রমণের। এরই মাঝে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণা করেন যে দেশে করোনা সংক্রমণ রুখতে এই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আগামী ৩ মে পর্যন্ত। এই পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ ভাবে লকডাউন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে বাড়িতেই থাতে বলেন।