অধিকাংশ ব্যাঙ্কই ৫০০০ টাকার বেশি জমা নিতে অস্বীকার করছে, ভোগান্তি চরমে!
নোট বাতিলের ঘোষণার পর থেকেই সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ ছিল না, মঙ্গলবারের ৫০০০ টাকার বেশি ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার নতুন নিয়মে সেই ভোগান্তি আরও বাড়ল।
নয়াদিল্লি, ২১ ডিসেম্বর : নোট বাতিলের ঘোষণার পর থেকেই সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ ছিল না, মঙ্গলবারের ৫০০০ টাকার বেশি ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার নতুন নিয়মে সেই ভোগান্তি আরও বাড়ল।[৫০০০ টাকার বেশি একাধিকবার জমা করাতেও করা হবে না জিজ্ঞাসাবাদ, নয়া নির্দেশিকা আরবিআই-এর ]
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খবর মিলছে যে,অনেক ব্যাঙ্কেই ৫০০০ টাকার বেশি হলেই তা জমা নিতে অস্বীকার করা হচ্ছে। যার ফলে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
যে ব্যাঙ্কগুলি ৫০০০ টাকার বেশি নোট নিতে অস্বীকার করছে তাদের একাংশের দাবি, তাদের কাছে নির্দেশ রয়েছে ৫০০০ টাকার বেশি জমার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে 'সন্তুষ্ট' না হলে অ্যাকাউন্টে তা ক্রেডিট না করতে। ব্যাঙ্কের ম্যানেজারদের কথায়, আমরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাই না। ৫০০০ টাকার বেশি জমা নেওয়ার ক্ষেত্রে তদন্ত হলে আমরা কোনও সমস্যায় জড়াতে চাই না।
এদিকে সরকারি একাধির ব্যাঙ্কের কর্মীদের কথায়, ২জন অফিসার উপস্থিত না থাকলে ৫০০০ টাকার বেশি টাকা যেন জমা না নেওয়া হয়, তার স্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। বড় শহরের বাইরে বা শহরতলির ব্যাঙ্কগুলিতে বেশিরভাগ সময়ই একজন অফিসারই থাকেন। বাকিরা করণিক। সেসব ক্ষেত্রে সমস্যা তো হবেই।
সোমবার অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি আশ্বাস দিয়েছিলেন, পুরনো নোটে একবারে যে কোনও পরিমাণ টাকা জমা দিলেও তা নিয়ে প্রশ্ন করা হবে না। এদিকে মঙ্গলবার আরবিআই-এর নয়া নির্দেশিকা পুরনো নোটে ৫০০০ টাকার বেশি একবারই জমা দেওয়া যাবে। তাতে বিভ্রান্ত ব্যাঙ্ক কর্মরাও। ব্যাঙ্কের হিসাবরক্ষকদের কথায়, অর্থমন্ত্রী যা বলেছেন তা মুখে, লিখিত নয়, ফলে তা নিয়ে মাথাব্যাথা নেই। কিন্তু অর্থমন্ত্রীর সোমবারের মন্তব্যের ভিত্তিতে অনেকেই আরবিআই-এর লিখিত নির্দেশিকা অমান্য করছেন। ফলে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।
এভাবে বারবার টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম বদলে বিভ্রান্তি সাধারণ মানুষদের ক্ষেত্রেও। হয়রানি আর ভোগান্তি এখন প্রায় জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।