মোরবিতে ব্রিজ দুর্ঘটনা! ওরেভা গ্রুপের কর্ণাধারকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ
২০২২ সালে ৩০ অক্টোবর মোরবিতে সেতু ভেঙে পরে ১৩৫ জন মারা গিয়ে ছিলেন, আহত হয়েছিলেন আর অনেকে। সেই ঘটনায় পুলিশ নয়জন গ্রেপ্তার করেছিলেন। ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠে ওরেভা গ্রুপের এমডি জয়সুখ প্যাটেলের বিরুদ্ধে।
গত বছর অক্টোবর মাসে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে গুজরাতের মোরবিতে ব্রিজ দুর্ঘটনার ঘটনায় মারা গিয়ে ছিলেন ১৩৫ জন। এই জেরে গত বছরই ওরেভা গ্রুপের নয় কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছিলেন পুলিশ। গাফিলতির অভিযোগ ওঠে ওরেভা গ্রুপের এমডি জয়সুখ প্যাটেলের বিরুদ্ধে। তারপরেই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেন। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম জে খান জয়সুখ প্যাটেলকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন, ৮ ফেব্ররুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি নজর দারিতেই থাকবেন তিনি।
কবে ব্রিজ ভেঙে পড়েছিল
জয়সুখ প্যাটেলকে বিশেষ তদন্ত দল এস আইটির হেফাজতে রাখার নিদেশ দেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর গুজরাতের মোরবিতে একটি নদীর ওপর একটি ঝুলন্ত ব্রিজ ভেঙে পরে যায়। ঘটনায় মারা গিয়েছিললেন ১৩৫ জন, সেই সঙ্গে আহতের সংখ্যাও ছিল অনেক।
কেন পুলিশ জয়সুখকে গ্রেপ্তার করেছিলেন
ওরেভা গ্রুপের এমডি জয়সুখ প্যাটেল-সহ তার কোম্পানির লোকেরা ছিলেন সেই ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে। মঙ্গলবার এই ঘটনার জেরে আদালত জয়সুখ প্যাটেলের বিরুদ্ধের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তারপরেই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।
ব্রিজটি বিপদজনক ছিল
জানা গিয়েছে, ব্রিজটি বিপদজনক জেনেও সেই ব্রিজের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওরেভা গ্রুপ। যে ব্রিজে ১০০ জনের বেশি ওঠা মানা ছিল, সেই ব্রিজে কীভাবে ৫০০ জনের বেশি উঠেছিল, কেন এত দর্শনার্থীদের ওই ব্রিজে ওঠার জন্য টিকিট দেওয়া হয়েছিল। এটি যে বিপদজ্জনক তা আগে থেকেই জানত ওরেভা গ্রুপ।
ঘটনায় কাকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ
ব্রিজ ভেঙে পরার ঘটনায় পুলিশ ওরেভা গ্রুপের দুই ম্যানেজার, ২ জন টিকিট বুকিং ক্লার্ক, ২ জন সাব কন্ট্রাকটর ও তিন নিরাপত্তারক্ষী সহ মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে উঠেছিল নিরাপত্তা গাফিলতির অভিযোগ। ভিড় নিয়ন্ত্রনে রাখার কথা ছিল, কেন সেদিকে নজর দেন এই গ্রুপ। আর এই অভিজোগের ভিত্তিতে জয়সুখ ছাড়াও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ (অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ড), ৩০৮ (অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ডের চেষ্টা করা), ৩৩৬ ( মানুষের জীবন বিপদে ফেলার চেষ্টা এবং ৩৩৮ (অবহেলা মূলক কাজ) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অনেক কর্মী এই ব্রিজ মেরামত করার যোগ্য ছিল না
জানা গিয়েছে, ওরেভা গ্রুপ ব্রিজে প্রবেশকারী ব্যক্তির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে নি। কোনও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়াই তারা ব্রিজে অত্যাধিক পরিমাণে মানুষ তুলে ছিলেন ব্রিজে। আর জানা গিয়েছে, সেতুটিতে মরিচা পরেও গেলেও সঠিক ভাবে তা রক্ষনা বেক্ষন করা হয়নি। ওরেভা গ্রুপের অনেক কর্মী এই ব্রিজ মেরামত করার যোগ্য ছিল না।