একুশে শূন্যে গিয়ে ঠেকবে ভারতে আর্থিক বৃদ্ধি, আশঙ্কা বাড়াল মুডিজ
একুশে শূন্যে গিয়ে ঠেকবে ভারতে আর্থিক বৃদ্ধি, আশঙ্কা বাড়াল মুডিজ
করোনা ভাইরাসের কারণে ৪০ দিনের লকডাউন কাটিয়েছে ভারত। এখনও চলছে লকডাউন। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে সেটা এখনও অনিশ্চিত। তার প্রভাব যে ভারতের অর্থনীতিতে ভীষণভাবে পড়তে শুরু করেছে তা আন্দাজ করতে পেরেই মদের দোকান খোলা হয়েছে। এই আশঙ্কা জনক পরিস্থিতির মধ্যেই আরও আশঙ্কার কথা শোনাল মুডিজ। ভারতের অার্থিক বৃদ্ধি ২০২১ সালে একেবারে শূন্যে গিয়ে দাঁড়াবে এমনই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে এই সংস্থা।
মোদীর আচ্ছে দিন তলানিতে
দ্বিতীয় দফার শুরু থেকেই একের পর এক ধাক্কা। মোদীর আচ্ছে দিন একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে অন্তত মুডিেজর সম্ভাব্য আর্থিক বৃদ্ধির বার্তায় সেই আশঙ্কাই প্রকাশ্যে এসেছে। ক্ষমতায় আসার পর দেশকে পাঁচ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেটা যে এবার আর সম্ভব হচ্ছে না করোনা ধাক্কাই বুঝিয়ে দিয়েছে।
শূন্যে পৌঁছবে জিডিপি বৃদ্ধে
করোনা পরিস্থিতি ভারতের অর্থনীতিতে একেবারে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। মুডিজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ২০২১ সালে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি শূন্যে গিয়ে পৌঁছবে। কারণ সেই করোনা ভাইরাস এবং তার জেরে তৈরি হওয়া লকডাউন। যার জেরে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে ভারতকে।
উৎপাদনে ঘাটতি
করোনা লকডাউনের কারণে ভারতে একাধিক কলকারখানার উৎপাদন থমকে গিয়েছে। যার জেরে উৎপাদন শিল্পে বিপুল ক্ষতি স্বীকার করতে হবে ভারতকে। গ্রামীণ অর্থনীতি প্রায় ভেঙে পড়বে। তারসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে বেকারত্ব। লকডাউনের ক্ষতি মেটাতে একাধিক সংস্থা কর্মী ছাঁটাই শুরু করবে। যার জেরে দেশের অার্থিক বৃদ্ধি একেরাবে শূন্যে গিয়ে দাঁড়াবে। ২০২২ সালেও একই পরিস্থিতি থাকবে বলে মনে করছে মুডিজ।
২০২০ আর্থিক বৃদ্ধিতেও ঘাটতি
পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগেই ২০২০ সালের আর্থিক বৃদ্ধি ০.২ শতাংশ কমিয়েছে মুডিজ। অথচ ২০১৯ সালে নভেম্বরে অনেকটাই স্থিতিশীল ছিল। তবে শেয়ার বাজারে একের পর এক ধসে কিছুটা প্রভাব পড়েছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে দেশের সংকট আরও বেড়েছে তার প্রভাব পড়েছে আর্থিক ক্ষেত্রে।
করোনার জাপানি প্রতিষেধক ফাভিপিরাভির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু ভারতে