বেকারত্বই রাতের ঘুম ছুটিয়েছে দেশের জনগণের, বলছে সাম্প্রতিক সমীক্ষা
বর্তমানে ভারতের সব থেকে বড় চিন্তার বিষয় হল বেকরত্ব। এমনটাই উঠে এল ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপের মুড অফ দ্য নেশন সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এল। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর জুড়ে এই সীক্ষায় ১৯ রাজ্যের ১২, ১৪১ জনের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। তাতে ৩২ শতাংশ মানুষই দেশে কর্মসংস্থানের অবস্থা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
কৃষকদের দুর্ভোগ নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ
কর্মসংস্থানের অভাব নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ ছাড়ও কৃষকদের দুর্ভোগ নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ১৫ শতাংশ মানুষ। কৃষক দুর্ভোগের বিষয়টি দেশের মানুষের মধ্যে আপাতত দ্বীতিয় সব থেকে আশঙ্কার বিষয়। এরপর আশঙ্কার তৃতীয় ধাপে রয়েছে মূল্য বৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতির বিষয়টি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে ভারতীয়দের মধ্যে বেকারত্বের হার ছিল ৬.১ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে সেই হার ৫.৩ শতাংশ।
বেকারত্বের হার ৭.৫ শতাংশ
তবে কয়েকদিন আগের প্রকাশিত হয় ভারতীয় অর্থনীতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে বা সিএমআইইয়ের বেকারত্ব বিষয়ক এক সমীক্ষা। তাতে বলা হয়, ভারতের বর্তমান বেকারত্বের হার ৭.৫ শতাংশ। স্নাতকদের জন্য বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ১৮.৫ শতাংশে। সিএমআইই দ্বারা সংকলিত ২০১৯-এর শেষ তথ্যের অনুযায়ী এই তথ্য জানা গিয়েছে। আর এই রিপোর্ট প্রকাশ পেতেই স্নাতকদের বেকারত্ব হার নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রিপোর্টে আরও বলা হয় যে শহুরে মহিলাদের মধ্যে বেকারত্বের হার ২৬ শতাংশের বেশি।
মোদীর উপর ভরসা কত জনের?
এরই মধ্যে ৪৭ শতাংশ মানুষ আবার আশা করেন যে দেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করবে মোদী সরকার। যদিও কয়েকদিন আগেই স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটি গবেষণা রিপোর্টে জানানো হয়, ভারতীর ধীরগতির অর্থনীতির রেশ এবার পড়তে চলেছে চাকরিরর বাজারে। অর্থনীতির ধীর গতির জেরে মনে করা হচ্ছে যে আগামী অর্থবর্ষে ১৬ লক্ষ কম চাকরি তৈরি হবে দেশে। এই অর্থবর্ষে প্রায় ৯০ লক্ষ চাকরি তৈরি হয় দেশে। তবে এই সংখ্যা ছোঁয়া হবে না ২০২০-২১ অর্থবর্ষে।
বেকরত্বের বোঝায় আত্মহত্যা
এদিকে বেকারত্বের বোঝ নিতে না পেরে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে একজন করে আত্মহত্যা করে ভারতে। ২০১৮ সালের এরকমই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করে ন্যাশনাল ক্রাইম রিপোর্ট ব্যুরো। রিপোর্টে জানানো হয় যে দেশে ২০১৮ সালে মোট ১২,৯৩৬ জন বেকারত্বের জেরে আত্মহত্যা করেছে। দেশে ঘটা মোট আত্মহত্যার নিরিখে এটি ৯.৬ শতাংশ।