ভারত ব্যাপী মৌসুমী বায়ু ফের সক্রিয় কবে থেকে! যা বলছে আবহাওয়া দফতর
২৪ জুনের পর থেকে ফের পিকআপ নেবে মৌসুমী বায়ু। এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। জুনের প্রথমের দিকে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার পরে তা দুর্বল হয়ে পড়ে।
২৪ জুনের পর থেকে ফের পিকআপ নেবে মৌসুমী বায়ু। এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। জুনের প্রথমের দিকে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার পরে তা দুর্বল হয়ে পড়ে। মৌসুমী বায়ুর এই ধরনের দুর্বল হয়ে পড়ার ঘটনা অস্বাভাবিক নয় বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
দুর্বল হয়ে পড়ার কারণে এবং বিপরীত মুখী শক্তিশালী বাতাসের প্রবাহের কারণে মৌসুমী বায়ু আর অগ্রসর হতে পারেনি। ম্যাডেন জুলিয়ান ওসিলেশনের সক্রিয় ফেজের প্রতিক্রিয়াশীল অবস্থানের কারণেও দুর্বল হয়ে পড়েছিল মৌসুমী বায়ু।
তবে ২৪ জুন থেকে মৌসুমী বায়ু প্রবাহ স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছেন আবহবিদরা। কেননা সেই সময় ম্যাডেন জুলিয়ান ওসিলেশনের সক্রিয় ফেজ সঠিক পথেই যাবে। একইসঙ্গে পূর্বভারতের ওপর বিশেষ করে গাঙ্গেয় উপত্যকার ওপর ঘূর্ণাবর্তের প্রবাহও জারি থাকবে বলে অনুমান। যার ফলে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু অসমের বাকি অংশ, মহারাষ্ট্র, ছত্তিসগড়, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গের আরও অনেকটা অংশ, ঝাড়খণ্ড, বিহার, মধ্যপ্রদেশের কিছু অংশে ২৩ থেকে ২৫ জুনের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের উপগ্রহ চিত্র
এবছরে নির্দিষ্ট সময়ের ৩ দিন আগেই ২৯ মে কেরলে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করেছিল। গত কয়েকদিন ধরে তা সক্রিয় পশ্চিম উপকূল এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩-২৪ জুনের মধ্যে ওড়িশা ও পূর্ব ভারতে ভাল বৃষ্টি শুরু হবে। অন্যদিকে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং দক্ষিণ ভারতের অন্য অংশগুলোতে জুনের ২৬ তারিখ থেকে ভাল বৃষ্টি শুরু হবে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী এবছরে মধ্য ভারতে স্বাভাবিক বৃষ্টি হবে। কিন্তু কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কেরল, পণ্ডিচেরীতে স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টি হবে।
আবহাওয়া দফতরের উপগ্রহ চিত্র
উত্তর
পূর্ব
ভারতে
এই
সময়ে
স্বাভাবিকের
থেকে
কম
বৃষ্টি
হবে।
আবহাওয়া
দফতরের
পূর্বাভাস
অনুযায়ী
জুলাই
মাসের
সময়ে
দেশে
১০১
শতাংশ
বৃষ্টি
হবে।
অগাস্টে
যা
হবে
৯৪
শতাংশ।
তবে
এই
পরিমাণের
৯
শতাংশ
কমবেশি
হতে
পারে।
যদি বৃষ্টিপাত সাধারণের ৯০-৯৬ শতাংশ হয়, তাহলে তাকে স্বাভাবিকে থেকে কম বলা হয়। আর যদি তা ৯৬ থেকে ১০৪ শতাংশের মধ্যে থাকে, তাহলে তাকে স্বাভাবিক বলা হয়। যদি তা, ১০৪ থেকে ১১০ শতাংশের মধ্যে থাকে, তাহলে তাকে স্বাভাবিকের থেকে বেশি এবং ১১০ শতাংশের ওপরে হলে অতিরিক্ত বলে গণ্য করা হয়।