উত্তর পশ্চিম ভারতে মৌসুমী বায়ু কবে! যা বলছে আবহাওয়া দফতর
২৭ জুনের পর থেকে উত্তর পশ্চিম ভারতেও আবহাওয়ার পরিস্থিতি মৌসুমী বায়ু প্রবেশের আগেকার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির পক্ষে অনুকূল হবে বলে জানানো হয়েছে।
দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রায় পুরো দক্ষিণ ভারতেই বিস্তৃত হয়েছে। খুব শীঘ্রই তা মধ্য ভারতের পুরো অংশে ছড়িয়ে পড়বে। কেননা মহারাষ্ট্রের কিছু অংশ, ছত্তিসগড় এবং ওড়িশায় আবহাওয়ার পরিস্থিতি মৌসুমী বায়ু ছড়িয়ে পড়ার পক্ষে যথেষ্ট অনুকূল বলে জানা গিয়েছে।
শনিবার সকালে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অসমের কিছু অংশ, মহারাষ্ট্র, ছত্তিসগড়, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশ, একইসঙ্গে গুজরাত, ঝাড়খণ্ড, বিহার, মধ্যপ্রদেশের কিছু অংশে আগামি ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে মৌসুমী বায়ুর পক্ষে আবহাওয়া যথেষ্ট অনুকূল হবে।
২৭ জুনের পর থেকে উত্তর পশ্চিম ভারতেও আবহাওয়ার পরিস্থিতি মৌসুমী বায়ু প্রবেশের আগেকার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির পক্ষে অনুকূল হবে বলে জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের উপগ্রহ চিত্র
আবহাওয়া দফতরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মধ্য প্রদেশ, ছত্তিসগড়, ঝাড়খণ্ড, অসম, মেঘালয়, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, পণ্ডিচেরীর কোনও কোনও জায়গায় শনিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
দেশে মৌসুমী বায়ু প্রবেশের পর প্রথম তিন সপ্তাহে দেশে বৃষ্টি হয়েছে স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই কম। কেননা মৌসুমী বায়ু তার গতি হারিয়ে ফেলেছিল। দিন দশেক আগে মুম্বই ও কর্ণাটকে প্রবল বৃষ্টি হয়েছিল।
আবহাওয়া দফতরের উপগ্রহ চিত্র
১ জুন থেকে ভারতের দক্ষিণের অংশ বাদ দিয়ে অন্য অংশগুলিতে বৃষ্টি হয়েছে স্বাভাবিকের থেকে কম। আবহাওয়া দফতর এমনটাই তথ্য জানিয়েছে।
গত প্রায় একসপ্তাহ ধরে আবহাওয়া ছিল একেবারেই শুকনো। সারা দেশে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল স্বাভাবিকের থেকে ৩৯ শতাংশ কম। মধ্যভারতে যেখানে এখনই মৌসুমী বায়ু পৌঁছে যাওয়ার কথা, সেখানে বৃষ্টির পরিমাণ কম প্রায় ৭০ শতাংশ।
মৌসুমী বায়ু এবছরে কেরলে প্রবেশ করেছে ২৯ মে। নির্দিষ্ট সময়ের তিনদিন আগেই। মৌসুমী বায়ু গত সপ্তাহের মঙ্গলবার দেশের পূর্বাংশের দিকে এগিয়েছে। তবে মৌসুমী বায়ু রূদ্ধ হওয়ার ঘটনা যে স্বাভাবিক, সে ক্ষেত্রে ১০-১২ দিন সময় লাগার ঘটনাও যে স্বাভাবিক, তা জানিয়েছেন আবহবিদরা।