ভোটের আগে শেষ পূর্ণ অধিবেশন, কিন্তু এই লোকসভার ট্র্যাক রেকর্ডে আশাবাদী নন কেউই
বুধবার শুরু হচ্ছে সংসদে বাদল অধিবেশন। মোদী সরকারের আনা ৪০টি বিল, এর মধ্যে কয়েকটি ২০১৪ সাল থেকে সংসদে ঝুলে আছে।
বুধবার শুরু হতে চলেছে সংসদের বাদল অধিবেশন। ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে এটিই ষোড়শ লোকসভার শেষ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন। কিন্তু এই লোকসভার যা রেকর্ড তাতে কেউই বাদল অধিবেশন নিয়ে কুব একটা আশাবাদী নন। ২০১৪ সাল থেকে নরেন্দ্র মোদী সরকারের আনা ৪০ টি বিল ঝুলে রয়েছে। এর মধ্যে ১২টি নিম্নকক্ষে পাস হলেও বাকিগুলি কোনও কক্ষেই গৃহীত হয়নি।
এর আগে কোনও লোকসভাতেই এত কম আইন পাস হতে দেখা যায়নি। এর জন্য বিরোধী-শাসক দুপক্ষই সমান দায়ী। একদিকে যেমন সরকারের আনা বিভিন্ন বিলের নিরন্তর বিরোধিতা করে গিয়েছে বিরোধী দলগুলি, অন্যদিকে মোদী সরকারও সফলভাবে সংসদ পরিালনা করতে ব্যর্থ।
রাজ্যসভায় বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই, কিন্তু লোকসভায় তারাই সংখ্যাগরীষ্ঠ। কিন্তু তারপরেও বহু বিল লোকসভায় পাস করাতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। সংসদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনাতেও যায়নি সরকার। বিরোধীদের বুঝিয়ে বিল পাস করার দায়িত্ব তাদেরই।
ঘত বছরের অধিবেশনে মোট ১৩ টি বিল পাস হয়েছিল। লোকসভা ও রাজ্যসভায় ৩৪ ঘন্টা ২৯ মিনিটেরও বেশি সময় ব্যয় করা হয়েছিল বিলগুলি নিয়ে আলোচনায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বিজয় গোয়েলের মতে লোকসভায় এখনও ৬৮ টি ও রাজ্যসভায় ৪০ টির মতো বিল পাস হওয়া বাকি আছে। তবে সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী বাকি থাকা বিলের সংখ্যা যথাক্রমে ২৭ ও ৪৮।
পাস না হওয়া বিলগুলির মধ্যে কিন্তু বেশ কিছু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। সংসদে ঝুলে থাকা এই বিলগুলির মধ্যে আছে, লোকপাল, জমি অধিগ্রহণ, রূপান্তরকামী অধিকার রক্ষা, আন্তঃ রাজ্য নদী জল বিরোধ, তিন তালাক, এবং ফিউজিটিভ ইকোনোমিক অফেন্ডার বিল।
তবে পড়ে থাকা বেশ কিছু বিল সরকার পক্ষ নিজেই পাস করাতে আগ্রহী নয়। এই বিলগুলি আনার পর জনমানসে তার প্রতিক্রিয়া দেখেই সরকার পিছিয়ে এসেছে। এরমধ্যে আছে জমি অধিগ্রহণ বিল, যা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছিল কৃষকদের মধ্যে। আছে অত্যন্ত বিতর্কিত সিটিজেন্স অ্যামেন্ডমেন্ট বিল, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও উত্তরপূর্বের রাজ্য গুলিতে যা নিয়ে ব্যপক প্রতিবাদ হয়েছে।