কেরলে ঢুকল বর্ষা, 'চাতকপাখি' বাংলাকে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন
শুক্রবার কেরলে ঢুকল মৌসুমি বায়ু। অন্তত ছ'দিন দেরিতে এলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন কৃষকরা। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকতে ঢুকতে আরও অন্তত দিন দশেক লেগে যাবে বলে অনুমান। আর ভৌগোলিক নিয়মে উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকবে কলকাতার অন্তত পাঁচদিন আগে। আসলে এ বার বর্ষা এগোচ্ছে খুব শ্লথ গতিতে। তাই চিন্তায় পড়েছেন আবহবিদরা। এ জন্য প্রকৃতির খামখেয়ালিপনাই দায়ী।
এদিন সকাল থেকেই কেরলের আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা। বেলা গড়াতেই কোচি, তিরুবনন্তপুরমে শুরু হয়ে যায় ঝিরঝিরে বৃষ্টি। আবহবিদরা জানিয়েছেন, আরব সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত ঘনীভূত হয়েছে। এটি আস্তে আস্তে এগিয়ে আসছে কেরল উপকূলের দিকে। মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে জোট বেঁধে আগামী ৭২ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত ঘটাবে। মৌসুমি বায়ু আগামী ২৪ ঘণ্টায় ছড়িয়ে পড়বে তামিলনাড়ুর বিস্তীর্ণ অংশে। জুন মাসের শেষাশেষি দিল্লি ও পাঞ্জাবে পৌঁছবে মৌসুমি বায়ু।
দেশের অন্যান্য অংশের মতো পশ্চিমবঙ্গও এখন গরমে ভাজা হচ্ছে। কেরলে আজ মৌসুমী বায়ু আসার অর্থ, কলকাতায় তা পৌঁছতে পৌঁছতে ১৬-১৭ তারিখ হয়ে যাবে। যদিও প্রাক-বর্ষার বৃষ্টিতে ভিজতে পারে বাংলা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের তরাই-ডুয়ার্স অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গেও ছিটেফোঁটা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পুরোটাই প্রাক-বর্ষার বৃষ্টি। জুলাই মাসের মাঝামাঝি গোটা দেশ চলে যাবে মৌসুমি বায়ুর দখলে।
এ বার আশঙ্কা ছিল, 'এল নিনো'-র প্রভাবে বর্ষার আগমন হয়তো বহু বিলম্বিত হবে। সেটা না হওয়ায় বেঁচে গিয়েছে দেশের চাষাবাদ।