সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের রাখা কালো টাকা মোদী আমলে কমেছে অনেকটাই, বলছে রিপোর্ট
সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীদের জমা অর্থের পরিমাণ কমছে। কোনও ব্যক্তি কিংবা সংস্থার মাধ্যমে এই টাকা জমা পড়ে সুইস ব্যাঙ্কে।
সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীদের জমা অর্থের পরিমাণ কমছে। কোনও ব্যক্তি কিংবা সংস্থার মাধ্যমে এই টাকা জমা পড়ে সুইস ব্যাঙ্কে। ২০১৮ সালে জমার পরিমাণ ৬ শতাংশ কমে গিয়ে ৯৫৫ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ হয়েছে ( ভারতীয় মুদ্রায় ৬,৭৫৭ কোটি টাকা)। নিম্নগামী এই হার দুই দশকে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন বলে তথ্য প্রকাশ করে জানিয়েছে সুইস ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক।
এই সময়ে শুধু ভারতীয়ই নয়, অন্যতম দেশ থেকেও জমার পরিমাণ কমেছে। তবে এই হার ৪ শতাংশ। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৯৯ লক্ষ কোটির মতো।
তবে ভারত ও সুইৎজারল্যান্ড সরকার যে তথ্যের ওপর বেশি ভরসা করে সেই ব্যাঙ্ক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটলমেন্টের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয়দের তরফে ব্যক্তিগত জমার পরিমাণ ২০১৮ সালে কমেছে ১১ শতাংশের মতো।
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয় গ্রাহকদের অর্থ ২০১৭ সালে ৫০ শতাংশ বেড়েছে। যা প্রায় ৭ হাজার কোটির মতো। যদিও পরের বছরের তা নিম্নগতি হয়। এর আগে ১৯৯৫ সালে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের অর্থ গচ্ছিতের পরিমাণে নিম্নগতি লক্ষ্য করা গিয়েছিল।
সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের ভারতীয়দের গচ্ছিত অর্থ ক্রমেই বেড়েছে। ২০০৭ সালে তা পৌঁছে গিয়েছিল বিলিয়নে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তদন্তকারী সংস্থার হানার ভয়ে তা কমতে থাকে।
তবে ২০১৮-র ১ জানুয়ারি থেকে কালো টাকা উদ্ধারে ভারত ও সুইৎজারল্যান্ড সরকারের মধ্যে চুক্তির ভিত্তিতে তথ্য আদানপ্রদানে ব্যবস্থা চালু হয়েছে। ২০১৮-র অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ভারতের কর কর্তৃপক্ষের হাতে পৌঁছে যাবে ২০১৯-এর সেপ্টেম্বর নাগাদ। এই তথ্য হাতে পেলে কালো টাকা উদ্ধারে সরকার অনেকটাই এগোতে পারবে বলে মনে করছেন পদস্থ আধিকারিকরা।