ভারতের চিরকালের লক্ষ্য ধর্ম ও শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া, মন্তব্য মোহন ভাগবতের

কয়েকদিন আগেই তিনি বলেন, ভারতের ১৩০ কোটি ভারতীয়ই হিন্দু। এরপর শনিবার ফের ভারতের অর্থ নিয়ে মুখ খোলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত। শনিবার এনসিসিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, 'ভারতের সত্যিকার অর্থ হল ধর্ম ও শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। ভারতের মূল লক্ষ্য চিরকাল ছিল যে বিশ্বে একটি সামঞ্জস্য গড়ে তোলা। এর ফলে বিশ্বে শান্তি বিরাজমান থাকবে।'

মোহন ভাগবতের বক্তব্য
তিনি আরও বলেন, 'ভারতের এই লক্ষ্য চিরস্থায়ী। ভারতের আসল লক্ষ্য কী? ভারতের আসল লক্ষ্য বিশ্ব শান্তির ভারসাম্য বজায় রাখা। এর জন্য শান্তি, সাদৃশ্য এবং সম্প্রীতি ছড়াতে থাকা। এবং তা আমাদের করতে হবে যত দিন এই বিশ্ব থাকবে। ধর্মই একমাত্র জিনিস যা ভারতকে তার মূল লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে।'

ভারতীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে আরএসএস প্রধানের বক্তব্য
আরএসএস প্রধান ভারতীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে বলেন, 'দেশের বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রাচীন ঐতিহ্যেই ঐক্যের দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। এটা আবশ্যক নয় যে, একশজন লোক একইরকম ভাববে। পরিবর্তে, আমাদের দর্শন হল সবার মধ্যে এক আধ্মাত্মিকতার বিকাশ ঘটানো। এই শিক্ষাই আমরা পাই বেদ ও উপনিষদ থেকে।'

১৩০ কোটি ভারতীয়কে হিন্দু বলায় বিতর্ক
কয়েকদিন আগেই আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত হায়দরবাদে আয়োজিত 'বিজয় সংকল্প' সভায় বলেন, '১৩০ কোটি ভারতীয়কে আমরা হিন্দু সমাজ বলে মনে করি।' এবার সেই প্রেক্ষিতে অন্য সুর শোনা ?যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আঠওয়ালের গলায়। তিনি এই বিষয়ে বলেন, 'দেশের সবাইকে হিন্দু বলা ঠিক নয়।' এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে টুইট করেন আরও এক বিজেপি শরিক লোক জনশক্তি পার্টি প্রধান রামবিলাস পাসোয়ানও।

সেই বার কী বলেছিলেন মোহন ভাগবত?
সেবার মোহন ভাগবত হিন্দুত্ব ইস্যুতে জোর খাটাতে মন্তব্য করেছিলেনন, 'ধর্ম আর সংস্কৃতির ভেদ বাদে, যে মানুষদের জাতীয়বাদী উদ্দম রয়েছে আর যাঁরা দেশের সংস্কৃতি ও তার ঐতিহ্যকে সম্মান করেন , তাঁরা হিন্দু। আর আরএসএস মনে করে ১৩০ কোটি ভারতীয়ই এদেশের হিন্দু সমাজের বাসিন্দা। ভারত মায়ের যে সন্তানরা রয়েছেন, তাঁরা যেই হোক, যে ভাষাতেই কথা বলুন, যে ধর্মই পালন করুন, বা যে পুজোপাঠেই বিশ্বাস করুন, এঁরা সকলেই হিন্দু।'
'NRC করার আগে রাজ্যের সঙ্গে কথা হবে', এরপরই এনপিআর নিয়ে কী বললেন রবিশঙ্কর