হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির বার্তা মোহন ভাগবতের, বললেন ৪০ হাজার বছর ধরে ভারতীয় DNA এক
হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির বার্তা মোহন ভাগবতের, বললেন ৪০ হাজার বছর ধরে ভারতীয় DNA এক
এর আগেই বলেছিলেন, হিন্দু এবং মুসলিমের ডিএনএ একই। এবার ফের ঐক্যের বার্তা দিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভগবত৷ হিমাচল প্রদেশের একটি ধর্মশালায় এসে তিনি বললেন, '৪০ হাজার বছর ধরে ভারতীয়দের ডিএনএ একই'।
এর পাশাপাশি বেশ কিছু ক্ষেত্রে আরএসএসের অবস্থানও স্পষ্ট করেন মোহন৷ স্পষ্ট বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ওপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের। তিনি বলেন, 'তাঁদের আলাদা কর্মকর্তা রয়েছে। ওঁরা অন্যরকম রাজনীতিতে চলেন, কাজের পদ্ধতিও আলাদা৷ হ্যাঁ, ওখানে সঙ্ঘ মনোভাবাপন্ন মানুষ আছেন, তা থাকবেই। সঙ্ঘের ভাবনা সেখানে আছে, তা যথেষ্ট কার্যকরী। সম্পর্ক বলতে এটুকুই। সংবাদমাধ্যম যেভাবে দাবি করে, সরাসরি রিমোট কন্ট্রোল আছে, তেমন নয়।'
সম্প্রতি তামিলনাড়ুর কুনুরে কপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন ভারতীয় সেনার প্রথম সসর্বাধিনায়ক জেনারেল বিপিন রাওয়াত। তাঁর পাশাপাশি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও আরও ১২ জন সেনা আধিকারিক। তাঁদের স্মরণ করেই হিমাচল প্রদেশের একটি ধর্মশালার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন মোহন ভগবত৷ অনুষ্ঠানে সঙ্ঘচালক এক মিনিটের নীরবতা পালন করেন এবং তাঁদের মৃত্যুতে গভীর শোকজ্ঞাপন করেন। শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন প্রায় এক হাজার জন প্রাক্তন সেনা আধিকারিক৷ তাঁদের সামনেই মোহন ভগবত অনুরোধ করেন, যেন আরও বেশি করে সঙ্ঘকে জানার চেষ্টা করেন ওঁরা।
মোহন বলেন, 'সরকারের অবস্থান আমাদের বিরুদ্ধে ছিল, সর্বদা বিরোধিতা থেকেছেই৷ তা সত্ত্বেও ৯৬ বছর ধরে সঙ্ঘ পথ চলছে৷ এত বাধা বিপত্তি অতিক্রম করেই আমরা পথ চলছি। অগণিত স্বয়ংসেবক রয়েছেন আমাদের সঙ্গে, তাঁরা শান্ত হয়ে বসার পাত্র নন। সমাজের যেখানে তাঁদের প্রয়োজন, তাঁরা প্রত্যেকে সাহায্য করতে প্রস্তুত৷ এতদিন ধরে স্বয়ংসেবকরা যে কাজ করেছেন, তার থেকে প্রমাণিত হয় যে ওঁরা শুধু দেশের সংসদভবন চালান না। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষদের সঙ্গে নিয়ে চলেন। ওঁরা প্রত্যেকে স্বাধীন, নিজেদের মতো করে কাজ করেন।'
মোহন ভগবত আরও বলেন, ' ৪০ হাজার বছর ধরে ভারতীয়দের ডিএনএ একই থেকে গিয়েছে৷ আমাদের প্রত্যেকের পূর্বপুরুষ একই। আমাদের পূর্বপুরুষদের জন্যই আমাদের সংস্কৃতি এগিয়েছে, আমরা উন্নত হয়েছি।'