চায়ের আসরে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন মোদী, আপ্লুত পিএমও কর্মীরা
নয়াদিল্লি, ৫ জানুয়ারি: এমন প্রধানমন্ত্রী আগে দেখেননি ওঁরা! এমন একজন প্রধানমন্ত্রী যিনি সাফাইওয়ালাদের পর্যন্ত ডাকলেন চা খেতে, যিনি ভাগ করে নিলেন সুখ-দুঃখ! নরেন্দ্র মোদীর সৌজন্যে অভিভূত পিএমও (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) কর্মীরা।
যখন নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন গুজরাতি নববর্ষে সচিবালয়ের সবাইকে নিয়ে চায়ের আসর বসাতেন। সেখানে মুখ্যসচিব থেকে শুরু করে দারোয়ান, সাফাইকর্মী সবার নিমন্ত্রণ থাকত। এ বার প্রধানমন্ত্রী হয়ে সেই মডেল অনুসরণ করলেন তিনি। নববর্ষে শুভেচ্ছা জানালেন পিএমও কর্মীদের। আর সবাইকে চায়ের আসরে ডাকলেন। নববর্ষটা তাই ভালোই শুরু হল তাঁদের।
নয়াদিল্লির ৭ নম্বর, রেসকোর্স রোডের পঞ্চবটী অডিটোরিয়ামে বসেছিল এই চায়ের আসর। শুধু কী চা! সঙ্গে বিপুল পরিমাণ 'টা' ছিল। হরেক কিসিমের বিস্কুট থেকে শুরু করে ভুজিয়া, পকোড়া, শিঙাড়া, কাজু বাদাম কী নেই! যার যা ইচ্ছে হয়, প্রাণ খুলে খাও।
প্রধানমন্ত্রী বসবেন, তাই আলাদা জায়গা করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কী আর চুপ করে বসে থাকার মানুষ! ঘুরে-ঘুরে সব্বার কুশল জিজ্ঞাসা করলেন। বললেন, কারও কিছু জিজ্ঞাস্য আছে কি না! সরকারি কাজ থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত জীবন, অনেকে অনেক কিছু জিজ্ঞাসা করলেন। মুখে চিরাচরিত হাসি ধরে রেখে মজা করে উত্তর দিয়ে গেলেন।
পিএমও-র এক কর্মীর কথায়, উনি বিশ্বাস করেন যে, সুশাসন দেশে আসবে প্রশাসনের মাধ্যমে। আর সেই প্রশাসনের প্রাণভোমরা হলেন সরকারি কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে মন খুলে দু'টো কথা বললে তাঁরা কাজে উৎসাহ পাবেন। এই ফর্মুলা মেনে কাজ করে তিনি গুজরাত মাত করেছিলেন, এখন গোটা দেশেও তা অনুসরণ করতে চাইছেন।