গরিব পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষায় জমানো টাকা খরচ করবেন নরেন্দ্র মোদী
এ দেশের মুখ্যমন্ত্রীরা বেতনের পাশাপাশি ভাতা পান। নরেন্দ্র মোদী এতদিন নিজের দিন গুজরান করেছেন ভাতা দিয়ে। বেতনের টাকা আলাদা করে সরিয়ে রেখে দিয়েছিলেন। নিজে গরিব ঘরের সন্তান। মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকাকালীন দেখেছেন, গান্ধীনগরে রাজ্য সরকারের সচিবালয়ে যে নিম্নপদস্থ কর্মীরা রয়েছেন, তাঁদের সন্তানরা অনেক সময়ই ইচ্ছা থাকলেও উচ্চশিক্ষায় যেতে পারে না টাকার অভাবে। ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যানেজমেন্ট, আইন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে অনেকের পড়ার আগ্রহ থাকলেও টাকার অভাবে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হয় না। এমন ইচ্ছুক ছেলেমেয়েদের এ বার জমানো টাকা থেকে পড়ার খরচ দেবেন নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন: রেস কোর্স রোডে নরেন্দ্র মোদীর একাকিত্ব ঘোচাবে 'রামচরিতমানস', ট্যাব-ল্যাপটপ
মিডিয়া ও বিরোধী শিবির যতই তাঁকে 'দানব' বলে বর্ণনা করুক, ব্যক্তিগত জীবনে নরেন্দ্র মোদী অতিশয় বিনয়ী। জীবনযাপন সাদামাটা। সকালে ঈশ্বরের আরাধনা করে দিন শুরু করেন। নিরামিষ খান। খদ্দরের পোশাক সবচেয়ে পছন্দের। একা থাকেন, তাই নিজের ল্যাপটপ, ট্যাব নিয়ে ডুবে থাকেন। যখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন রোজই হতদরিদ্র মানুষ আসত। নানা আর্জি নিয়ে। নিজে সব কিছু দেখেশুনে সুরাহার নির্দেশ দিতেন সচিবদের। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর হয়তো সেটা সম্ভব হবে না। কারণ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব বেশি। সারা দেশের কথা ভাবতে হবে। ফলে হয়তো সময় করে উঠতে পারবেন না। তা ছাড়া, নিরাপত্তার জাঁতাকলও রয়েছে।
এদিকে, নরেন্দ্র মোদী গরিব সরকারি কর্মীদের সন্তানদের সহায়তা করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাতে খুশি মা হীরাবেন। তিনি বলেছেন, ছেলে সত্যিই কাজের কাজ করেছে। এ বার অনেক মেধাবীই নিজেদের যোগ্যতা তুলে ধরতে পারবে।