রাজপথ হল কর্তব্যপথ! ইন্ডিয়া গেটের সামনে নেতাজির মূর্তি উন্মোচন মোদীর
আরও এক ইতিহাস নয়াদিল্লির বুকে। ইন্ডিয়া গেটের সামনে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মূর্তি উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গ্রানাইট পাথরে খোদাই করা এই মূর্তির ওজন ৬৫ মেট্রিক টন।
আরও এক ইতিহাস নয়াদিল্লির বুকে। ইন্ডিয়া গেটের সামনে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মূর্তি উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গ্রানাইট পাথরে খোদাই করে এই মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। ওজন প্রায় ৬৫ মেট্রিক টন বলে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর উচ্চতা প্রায় ২৮ ফুট লম্বা বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে এদিন রাজপথের নাম বদলে কর্তব্যপথ করা হল। তবে এভাবে রাজপথের নাম বদল নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
এই মূর্তির কোনও ক্ষতি হবে না
বলে রাখা প্রয়োজন, গত ২১ জানুয়ারি ইন্ডিয়া গেটের সামনে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি বসানোর কথা জানিয়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অমর জওয়ান জ্যোতি যে জায়গাতে ছিল সেখানেই নেতাজির মূর্তি বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সেই মতো শুরু হয় কাজ। দু'লক্ষ ৮০ হাজার কিলোর গ্রানাইট পাথর একেবারে খোদাই করে নেতাজির বিশাল এই মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। এই সৃষ্টি তৈরি করার পিছনে রয়েছেন মাইসুরুর শিল্পী অরুণ যোগীরাজ। তাঁর নেতৃত্বেই এই কাজ হয়েছে বলে জানা যায়। বলা হচ্ছে, আগামী ১০০ বছরেও নেতাজির এই মূর্তির কোনও ক্ষতি হবে না। এটি অক্ষত থাকবে।
মোদীর হাতে নেতাজির মুর্তি উন্মোচন
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত দিয়ে ঐতিহাসিক এই নেতাজির মূর্তির উদ্বোধন হয়। সেই সময়ে ইন্ডিয়ান নেভির ব্যান্ড আজাদ হিন্দ ফৌজের 'কদম কদম বড়ায়ে যা' গানের সুর বাজান। এছাড়াও শাখ সহ নানা রাজ্যের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে তুলে ধরা হয় সেই সময়কে। জানা গিয়েছে, নেতাজির জীবনের উপর ১০ মিনিটের একটি বিশেষ অনুষ্ঠান দেখানো হবে। শুক্র, শনি ও রবিবার দেখানো হবে। সবথেকে বড় কথা এটি ড্রোনের মাধ্যমে দেখানো হবে বলে জানা গিয়েছে। রাত আট থেকে একেবারে বিনামূল্যে এই অনুষ্ঠান দেখানো হবে বলেই খবর।
বদলে গেল রাজপথের নাম
অন্যদিকে নেতাজির মূর্তির উদ্বোধনের পাশাপাশি সেন্ট্রাল ভিস্তার কাজ ঘুইরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি আজ বৃহস্পতিবার থেকেই দিল্লির রাজপথ কর্তব্যপথ হিসাবে পরিচিত হবে। সেটিও এদিন উদ্বোধন করা হুয়েছে এদিন। বলে রাখা প্রয়োজন, একেবারে পুরানো জিনিস ফেলে নতুন ভাবে তৈরি করা হয়েছে। রাখা হয়েছে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। আধুনিক লাইট থেকে শুরু করে নানা ব্যবস্থা থাকছে নয়া কর্তব্যপথে।
প্রজাতন্ত্র দিবসে আমন্ত্রিত শ্রমিকরা
গত কয়েকবছর আগে কেন্দ্রীয় ভিস্তা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হচ্ছে নয়া প্রকল্প। যেখানে নয়া সংসদ ভবন সহ একাধিক ভবন তৈরি হবে। যদিও মোদীর স্বপ্নের এই প্রকল্প নিয়ে একাধিক বিতর্ক রয়েছে। খরচ নিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কিন্তু এরপরেও কাজ এগিয়ে গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, সেন্ট্রাল ভিস্তার কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের আগামী ২০২৩ প্রজাতন্ত্র দিবসে আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রী মোদী ইতিমধ্যে জানিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।