বিরোধীদের করোনা ইস্যুতে কড়া জবাব দেওয়ার স্ট্র্যাটেজি তৈরি মোদী সরকারের, কোন পরামর্শ 'নমো'র
করোনার জেরে রীতিমতো তোলপাড় ভারতীয় রাজনীতি। বহু সপ্তাহ ধরেই করোনা ইস্যুতে বিদেশী মিডিয়াগুলি মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। তার জবাব বিদেশের অবস্থিত দূতবাসগুলি কীভাবে দেবে, তার পন্থা ইতিমধ্যেই ঠাওরে নিয়েছে কেন্দ্রীয় থিঙ্কট্যাঙ্ক। এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রককে কোভিড পরিস্থিতিতে সমালোচনা মোকাবিলার স্ট্র্যাটেজির বিষয়ে পরামর্শ দিলেন মোদী।
মন্ত্রিসভার বৈঠক ও মোদী
কোভিড ইস্যুতে মঙ্গলবারই এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সঙ্গে সেই বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। বৈঠকে হর্ষ বর্ধনকে নরেন্দ্র মোদী বিরোধীদের সমালোচনার মোকাবিলা সম্পর্কে বিশেষ পন্থা বাতলে দিয়েছেন বলে দাবি একাধিক সূত্রের।
মোদীর পরামর্শ
সূত্রের খবর, এই বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী জানান, বিরোধীদের সমালোচনার মোকাবিলা করা অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, বিরোধীরা যে ভুল তত্ত্ব পেশ করছে, যে গুঞ্জন ছড়িয়ে দিচ্ছে তা ভ্যাকসিনের তথ্য ও বৈজ্ঞানিক ডেটা দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। এমনকি বেশ কিছু ফ্যাক্টসকে সামনে আনার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ভ্যাকসিন নিয়ে তোলপাড় দেশ
একাধিক রাজ্য করোনায় রীতিমতো বিধ্বস্ত। এরমাঝে দিল্লি সহ একাধির এলাকার মুখ্যমন্ত্রীরা জানিয়েছেন, ১৮-৪৪ বছরের বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কোনও পরিস্থিতি নেই। কারণ দিল্লিতে ভ্যাকসিন নেই। এমন পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বহু মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে রাহুল গান্ধী ভ্যাকসিন ইস্যুতে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রবলভাবে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন।
ভারতের ভ্যাকসিন পরিস্থিতি
এদিকে, দেশের ভ্যাকসিন পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বেগের। আপাতত কোভিশিল্ড ও কভ্যাক্সিনকে আপৎকালীন ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছিল ভারক। তারপর রাশিয়ার স্পুতনিক পেয়েছে এই ছাড়পত্র। তারপরেও বহু রাজ্য ভ্যাকসিনের অভাব নিয়ে সরব।