দেশের মাত্র ২২০০ জন জানিয়েছেন তাঁরা বার্ষিক ১ কোটি টাকা রোজগেরে, করফাঁকির কাহিনি শোনালেন মোদী
করফাঁকির প্রবণতা নিয়ে কী আশঙ্কার কথা শোনালেন মোদী?
আয়করে ছাড় দিয়েও হচ্ছে না সুরাহা। আয়কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা বেড়েই চলেছে দেশবাসীর মধ্যে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মাত্র ২,২০০ জন নিজেদের বার্ষিক আয় এক কোটি টাকা বা তার বেশি বলে ঘোষণা করেছেন। এতে সংকট বাড়ছে সরকারের কোষাগারে। একই সঙ্গে যাঁরা সৎ পথে কর দিয়ে থাকেন তাঁদের উপর চাপ বাড়তে থাকে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মাত্র ২২০০ জনের আয় ১ কোটি টাকা
সাড়ে তিনশো কোটি দেশবাসীর মধ্যে মাত্র ২২০০ জন নিজেদের বার্ষিক আয় ১ কোটি টাকা ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে সেকথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন এখনও দেশবাসীর বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে কর ফাঁকির প্রবণতা কাজ করে। তাঁরা সব সময় কর ফাঁকির পথ খুঁজতে থাকে। আর যাঁরা সৎ পথে কর দিয়ে থাকেন তাঁদের বেশি চাপ পড়ে।
কর আদায়ে জোর সরকারের
কর আদায়ের উপরেই বেশি জোর দিচ্ছে মোদী সরকার। কারণ দেশের আর্থিক সংকটের কারণে আয়কর আদায়ের উপরেই বেশি জোর দিচ্ছে সরকার। সেকারণেই এবছরের বাজেট অধিবেশনে আয়কর ছাড়ে কোনও বিশেষ সুবিধা দেয়নি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। কোন হারে দেশবাসী আয়কর দেবেন সেটা তাঁদের উপরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ পুরনো হারে আয়কর দিলে ছাড় মিলবে। কিন্তু নতুন হারে আয়কর দিলে ছাড় মিলবে না।
রাজকোষ ভরতে ভরসা আয়কর
রাজকোষের যে অবস্থা তাতে চরম সংকটে রয়েছে সরকার। এই পরিস্থিতিতে রাজকোষ ভরতে একমাত্র ভরসা আয়কর। তাই আয়কর সংগ্রহেই বেশি জোর দিতে শুরু করেছে মোদী সরকার। কিন্তু দেশবাসীর কর ফাঁকির প্রবণতা এতোটাই প্রবল যে রাজকোষ ভরার সহজ হবে বলে মনে করছেন না মোদী।