দুর্নীতি মুক্ত সরকার গড়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন মোদী, রাফাল রায় প্রমাণ স্বচ্ছতার
দুর্নীতি মুক্ত সরকার গড়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন মোদী, রাফাল রায় প্রমাণ স্বচ্ছতার
রাফাল নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনেকটা বুমেরাং হয়ে গিয়েছে বিরোধীদের কাছে। মোদী সরকারকে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রমাণ করার শত চেষ্টা চালিয়েও পারলেন না রাহুলরা। শীর্ষ আদালতের রায় জানিয়ে দিল কতটা স্বচ্ছতার সঙ্গে রাফাল চুক্তি করেছে মোদী সরকার। মোদীকে ক্লিন চিট দিয়ে যশবন্ত সিনহা এবং অরুণ শৌরির পুনর্বিবেচনার আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত
মোদীকে ক্লিনচিট
রাফাল দুর্নীতি মামলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট। রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও ফরাসী সংস্থা দাসোঁর কাছ থেকে রাফাল যুদ্ধ বিমান কেনার চুক্তি প্রথমে ইউপিএ সরকারই করেছিল। কিন্তু তাতে কয়েকটি মাত্র রাফাল যুদ্ধ বিমানই ফ্রান্সের ওই সংস্থা থেকে কেনার কথা হয়েছে। বাকি বিমান হ্যাল তৈরি করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু ২০১৫ সালে সেই চুক্তি বদলে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফ্রান্স থেকে প্রায় ৩৬টি রাফালে যুদ্ধ বিমান কেনার চুক্তি স্বাক্ষর করেন তিনি। যার জন্য ভারতকে খরচ করতে হয় ৫৯,০০০ কোটি টাকা। কিন্তু চুক্তিতে লেখা হয়েছিল দাসোঁ মোট খরচের অর্ধেকটা ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করবে দাসোঁ।
চুক্তিতেই গলদ
দাসোঁর সঙ্গে যে চুক্তি মোদী সরকার করেছিল তাতেই গলদ রয়েছে বলে দাবি করে কংগ্রেস। অভিযোগ করা হয় দাসোঁর সঙ্গে যে ৫০ শতাংশ পাল্টা ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সো আরও ৭৫টি সংস্থা দিয়েছিল। ফ্রান্সের যেকোনও সংস্থাকে তারা এর জন্য বাছতে পারত। কিন্তু তার পরিবর্তে অনিল আম্বানির সংস্থাকে কেন বাছা হয়। যে দাসোঁর সঙ্গে রাফাল বিমান তৈরির বরাত পাবে। কিন্তু চুক্তিতে ভারতীয় কোনও সংস্থা তালিকায় ছিল না।
কংগ্রেসের অভিযোগ
অনিল আম্বানির সংস্থাকে রাফাল বিমান তৈরির বরাত দেওয়ার নেপথ্যে মোদী সরকার রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনিই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পুরো চুক্তি জনস্বার্থে প্রকাশ করার দাবি জানান। ২০১৮ সালে ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট অলাঁদের বয়ান বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দেয়। তিনি বলেছিলেন রিলায়েন্সকে বেছে নেওয়া ছাড়া আর কোনও পথ ছিল না দাসোঁর কাছে। তারপরেই এই নিয়ে মোদী সরকারে বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস।যদিও এরই মধ্যে প্রথম দফার রাফাল বিমান ভারতে চলে এসেছে। দিওয়ালির দিন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ফ্রান্সে গিয়ে রাফাল বিমান আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়ে আসেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রমাণ করে দিল দুর্নীতি মুক্ত সরকার গড়ার যে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছিলেন সেটা পূরণ করতে পেরেছেন।
আরও ৩৬টি রাফাল বিমান কিনবে ভারত, ২০২০-তে হবে পাকা কথা