আসতে চলেছে নতুন সরকার! কোন অর্থনীতি অপেক্ষা করছে, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা
এনডিএ দেশের জন্য যে অর্থনীতি ছেড়ে যাচ্ছে, তাতে রয়েছে অনেক সমস্যা। ইন্ডাস্ট্রিয়াল আউটপুটকমেছে প্রায় ০.১ শতাংশ। উৎপাদন বৃদ্ধি রেকর্ড কমেছে।
ভোটদান প্রক্রিয়া শেষের পথে। মধ্যে গণনার পরেই নতুন সরকার গঠন করার পালা। কিন্তু যে দল কিংবা জোট সরকার গঠন করুন না কেন, তাদেরকে শুরু করতে হবে দুর্বল অর্থনীতি দিয়ে। পরিষ্কার ভাবে বলতে গেলে, এনডিএ দেশের জন্য যে অর্থনীতি ছেড়ে যাচ্ছে, তাতে রয়েছে অনেক সমস্যা। ইন্ডাস্ট্রিয়াল আউটপুট কমেছে প্রায় ০.১ শতাংশ। উৎপাদন বৃদ্ধি রেকর্ড কমেছে। মার্চে ঋণাত্মক বৃদ্ধি ছিল ০.৪ শতাংশ। ভোক্তার চাহিদা প্রায় সবক্ষেত্রেই কমেছে।
দেশের
বড়
গাড়ি
নির্মাতা
সংস্থাগুলির
মধ্যে
মারুতি
এবং
হুন্ডাই
জানিয়েছে,
তাদের
গাড়ি
বিক্রির
পরিমাণ
কমেছে।
এমন
কী
গত
কয়েক
মাসে
মোটর
সাইকেল
এবং
স্কুটারের
বিক্রিও
কমেছে।
এছাড়াও
ভোগ্যপণ্য
এবং
পর্যটনেও
একই
অবস্থা।
বর্তমান
পরিস্থিতিতে
২০১৮-১৯-এর
চতুর্থ
ত্রৈমাসিকে
জিডিপি
সম্ভবত
৬.৫
শতাংশ।
জিএসটির মাধ্যমে কর সংগ্রহও ভাল নয়। কর সংগ্রহের যে লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল ২০১৮-১৯-এ তার থেকে ১.৬ ট্রিলিয়ন কম সংগ্রহ হয়েছে। তাই সরকার যে হাত খুলে খরচ করবে তারও উপায় নেই।
পরিকাঠামো ক্ষেত্রে দেশে অনেক কাজ করার আছে। যদিও তা অর্থনীতির পরিবর্তনে খুব একটা সাহায্য করতে পারবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে নতুন রাস্তা, রেল, বন্দর, এয়ারপোর্ট তৈরি হলে প্রতিযোগিতা বাড়বে।
রপ্তানি ক্ষেত্রেও ধাক্কা খেয়েছে সরকার। সেখানেও বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ১৭৬ বিলিয়ন ডলার। শ্রম নির্ভর রপ্তানিতে ভারত বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের কাছে ব্যবসা হারিয়েছে। অন্যদিকে, স্বাস্থ্য পরিষেবা, দক্ষতা প্রশিক্ষণ, শ্রমিকদের শিক্ষিত করে তোলার ক্ষেত্রে চিনের মতো দেশের থেকে পিছিয়ে। ফলে প্রভাব পড়ছে কাজেও।
দেশে ব্যাঙ্কিং সেক্টরের অবস্থাও ভাল নয়। মাঝারি ও ছোট শিল্প রয়েছে অর্থ সংকটে। ব্যাঙ্কগুলি ধার দিয়ে তা ফেরত না পাওয়ার পরিমাণ বাড়তে থাকাও সংকটজনক পরিস্থিতির জন্য দায়ী। ব্যাঙ্কগুলিকে স্বাস্থ্যবান করে তুলতে ২৮ বিলিয়ন ডলার গত দুবছরে সরকার দিলেও, পরিস্থিতির সেরকম কোনও উন্নতি হয়নি।