চেন্নাইয়ে মোদী-জিনপিং বৈঠকে কোন চমক লুকিয়ে
চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং শুক্রবার ভারত সফরে আসছেন। সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে।
চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং শুক্রবার ভারত সফরে আসছেন। সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। তামিলনাড়ুতে আগামী ১১-১২ অক্টোবর সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে। তামিলনাড়ুর উপকূলবর্তী শহর মামাল্লাপুরমে দুই রাষ্ট্রনেতা সাক্ষাৎ করবেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আঞ্চলিক তথা বিশ্বজনীন নানা বিষয় দুজনের আলোচনার মূল বিষয় হতে চলেছে বলে খবর।
দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠক
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে চিনের রাষ্ট্রপতি দ্বিতীয় ঘরোয়া বৈঠকে মিলিত হতে চলেছেন। ভারত-চিন কূটনৈতিক সম্পর্কের সত্তর বছর পূর্তিকে উৎযাপন করাও এই বৈঠকের অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী দুই দেশই
এই আগে বিশকেকে এসসিও সম্মেলনে মোদী-জিনপিং বৈঠক করেন। সেই বৈঠককে সফল বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। অর্থনৈতিক ও সাংষ্কৃতিক মৈত্রীকে আরও বাড়াতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলেও মোদী জানান। যা শুনে শি জিনপিংও জানিয়েছিলেন, ভারতের সঙ্গে জোট বেঁধে কাজ করতে চিন তৈরি রয়েছে।
চিনের বারবার বাধা
চিন বারবার ভারতকে নানাভাবে নানা ক্ষেত্রে বাধা দিয়ে এসেছে। এনএসজি-র সদস্যপদ, নিরাপত্তা পরিষদে সদস্যপদ থেকে শুরু করে ডোকলাম, কাশ্মীর ইস্যু - বারবার চিন ভারতের পথে কাঁটা বিছিয়েছে। এই অবস্থায় মোদী-জিনপিং বৈঠক বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
কাশ্মীর নিয়ে সুর নরম
ইতিমধ্যে জিনপিংয়ের ভারত সফরের আগেই কাশ্মীর নিয়ে সুর নরম করেছে চিন। জানিয়েছে, কাশ্মীর সমস্যা দ্বিপাক্ষিকভাবেই সমাধান করতে হবে। এই বক্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ কারণ পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করতে চিনে গিয়েছেন। তার মধ্যেই এই মন্তব্য অবশ্যই অন্য গুরুত্ব বহন করে।
কাশ্মীর নিয়ে চিনের অবস্থান
কাশ্মীর প্রসঙ্গে তিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র শেন শুয়াং বলেছে, কাশ্মীর নিয়ে চিনের অবস্থান খুব স্পষ্ট ও ধারাবাহিক। কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি বসে সমস্যার সমাধান করুক। কারণ তা দুই দেশের জন্যই আবশ্যক।
[আর্থিক মন্দার প্রবল ধাক্কা লাগছে ভারতে! সতর্কবাণী আইএমএফএর ]
[শহরের বিসর্জনে ৭০ ঘাটে কড়া নিরাপত্তা, অতিরিক্ত পুলিশ]