কাশ্মীর থেকে দলাই লামা প্রসঙ্গ! মোদী-জিনপিং হাইভোল্টেজ বৈঠকে কোন কোন বিষয় 'ফোকাস'-এ থাকছে
যদিও 'ইনফরমাল' শব্দটিকে ব্যবহার করা হচ্ছে, তবুও দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভারত-চিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এদিনের মোদী-জিনপিং বৈঠক অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। মার্কিন-চিন বাণিজ্যিক সংঘাত থেকে শুরু করে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের মতো একাধিক তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় এদিনের হাইভোল্টেজ বৈঠকে উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন বিষয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠকে জায়গা পেতে পারে।

সীমান্ত এলাকা নিয়ে আলোচনা
মামাল্লাপুরমের আজকের বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে, ভারত-চিন সীমান্ত এলাকা। ভারত ও চিনের মধ্যে ৩,৫০০ কিলোমিটারের সীমান্ত অবস্থিত। আর সেই সীমান্ত নিয়েই ১৯৬১ সালে দুটি দেশের সংঘাত চরমে ওঠে। কিন্তু তারপরেও ভারত-চিনের সীমানা ঘিরে সংঘাত কাটেনি। আজকের মামাল্লাপুরমের বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ গুরুত্ব পেতে পারে।

কাশ্মীর প্রসঙ্গ
রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় গত মাসেই চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের ব্যাপক সমালোচনা করেন। শুধু তাই নয়, তা র আগেও নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে, পাকিস্তান যখন কাশ্মীর প্রসঙ্গে ভারতকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছিল, তখনও বেজিং ইসলামাবাদকেই সমর্থন করেছিল। তারপর আজকের বৈঠকে জিনপিং এর সঙ্গে মোদীর আলোচনা এই ইস্যুতে কোন দিকে যায়স, সেদিকে তাকিয়ে গোটা দেশ।

দলাই লামা প্রসঙ্গ
১৯৫৯ সালে তিব্বতের ধর্মগুরু চিন সেনার হাত থেকে বাঁচতে ভারতে আশ্রয় নেন। তারপর থেকে দলাই লামা ইস্যুতে দুটি দেশের মধ্যে চরম সংঘাত শুরু হয়ে যায়। এদিনের বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ উঠতে পারে বলেও চৈনিক কূটনৈতিক মহলের দাবি।

ইন্দো-চিন সম্পর্ক
যেখানে বিশ্ব বাণিজ্য মানচিত্রে চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যেভাবে উত্তেজনা বাড়ছে , বা সংঘাত বাড়ছে তাতে এদিন ভারত ও চিনের এই দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্ব পেতে চলেছে আজ। দুটি দেশের বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে এদিন আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।