ভোটকেন্দ্রে দলের চিহ্ন দেখিয়ে বিপাকে নরেন্দ্র মোদী, হতে পারে ২ বছরের জেলও
কমিশনের নোটিশে জানানো হয়েছে, মোদীর বলার ধরণ তেকে স্পষ্ট যে উনি রাজনৈতিক বক্তব্যই রেখেছেন। ভোটারদের প্রবাবিত করার উদ্দেশ্যেই তিনি এমনটি করেছেন। আজ ভারতেজুড়ে যে ভোট পর্ব চলছে তার ফলকে প্রভাবিত করাই উদ্দেশ্য ছিল মোদীর।
কমিশন সূত্রের খবর, গুজরাত সরকারকে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার জন্য বলবে কমিশন। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, আইনত ভোট কেন্দ্রের থেকে ১০০ মিটারের কাছাকাছি প্রার্থীদের না থাকার জন্য তদবির করা হয়েছে। যদিও বারবার বলা সত্ত্বেও রাজনৈতিক দলের চিহ্ন দেওয়া পোশাক পরার ক্ষেত্রে কাউকে আটকানো যাচ্ছে না।
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, যে অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন মোদী তার ফলে ২ বছরের জেল পর্যন্ত হতে পারে তাঁর।
ভোটকেন্দ্র থেকে নরেন্দ্র মোদীর পদ্মফুল চিহ্ন প্রদর্শন করার অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি দুই দলই। ভোট দিয়ে বেরিয়ে ভোটকেন্দ্রের বাইরেই সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মোদী। তখনই তাঁর হাতে একটি সাদা পদ্মফুলের ছোট কাটআউট (যা বিজেপির দলীয় চিহ্ন) হাতে তুলে ধরেন তিনি। আর সেই সুযোগ তুলতে ছাড়েনি বিরোধীরা। সঙ্গে সঙ্গে মোদীর নামে কমিশনের কাছে অভিযোগ ঠোকে কংগ্রেস ও আপ।
নির্বাচন
কমিশনসূত্রের
খবর,
মোদী
সমর্থকদের
অভিযোগ,
কংগ্রেসের
চিহ্ন
হাত,
তাহলে
কী
ভোটারদের
হাত
লুকিয়ে
রাখার
নির্দেশ
দেবে
কমিশন।
নাকি
চশমা
খুলে
ফেলতে
বলা
হবে
যেহেতু
ওম
প্রকাশ
চওটালার
ইন্ডিয়ান
ন্যাশনাল
লোক
দলের
চিহ্ন
চশমা?
আম আদমি পার্টি নেতা আশুোতষ টুইট করে বলেন, বিজেপি তাদের ইস্তেহার নির্বাচনের দিন প্রকাশ করেছে। অন্যান্য ভোটের দিন মোদী পথসভা করেছেন। আর এখন,আজসাংবাদিক সম্মেলনে দলের চিহ্ন প্রদর্শন। নির্বাচন কমিশন কি পদক্ষেপ নেবে?
অন্যদিকে কংগ্রেসের মুখপাত্র শাকিল আহমেদ জানিয়েছেন, আমার মনে হয় মোদী যা করেছেন তা সাধারণ আচরণবিধি লঙ্ঘনেরই শামিল। ভোটকেন্দ্রের কাছেই মোদী সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। যে দুটি কেন্দ্র থেকে নরেন্দ্র মোদী মনোনয়ন দিয়েছেন তা বাতিল করে দেওয়া উচিত। উনি মনে করেন, উনি দেশের আইন-শৃঙ্খলার ঊর্ধে।