রাজপথে নাম বদলে মোদী বললেন, 'আরও এক দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি'
আরও এক ইতিহাস নয়াদিল্লির বুকে। ইন্ডিয়া গেটের সামনে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মূর্তি উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
PM Modi Speech: আরও এক ইতিহাস নয়াদিল্লির বুকে। ইন্ডিয়া গেটের সামনে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মূর্তি উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে রাজপথের নাম বদলে কর্তব্যপথ রাখলেন তিনি। আর এরপরেই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, দেশ আরও এক দাসত্বের শৃঙ্খলা থেকে মুক্তি পেল। শুধু তাই নয়, কর্তব্যপথ নতুন এক দিসা বলেও মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর। ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, কর্তব্যের পথ কেবল ইট-পাথরের পথ নয়। দেশের মানুষ যখন এখানে আসবে, নেতাজির মূর্তি, জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ, এই সবই তাদের দারুণ অনুপ্রেরণা দেবে, তাদের মধ্যে কর্তব্যবোধ জাগিয়ে তুলবে বলে মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
সুভাষবাবুকে ভুলে গিয়েছিল?
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, আমাদের ভারত যদি স্বাধীনতার পর সুভাষবাবুর পথ অনুসরণ করত, তাহলে দেশ আজ অন্য উচ্চতায় থাকত। কিন্তু স্বাধীনতার পর এই স্বাধীনতা সংগ্রামীকে ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে মন্তব্য তাঁর। তাঁর বিচার ধারা, তাঁর সঙ্গে যুক্ত প্রতীক পর্যন্ত উপেক্ষা করা হয়েছিল বলে এদিন মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। সে সময় লাল কেল্লায় তেরঙ্গা উত্তোলন কেমন হবে তা তিনি কল্পনা করেছিলেন। আজাদ হিন্দ সরকারের 75 বছর পূর্তি উপলক্ষে লাল কেল্লায় তেরঙ্গা উত্তোলনের সৌভাগ্যের সময় আমি ব্যক্তিগতভাবে এই অনুভূতিটি অনুভব করেছি বলে মন্তব্য নরেন্দ্র মোদীর।
সঙ্কল্প এবং লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে-
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, গত আট বছরে আমরা একের পর এক এমন অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যার ওপর নেতাজির আদর্শ ও স্বপ্ন জড়িয়ে রয়েছে বলে মন্তব্য তাঁর। মোদী বলেন, নেতাজি সুভাষবাবু অখন্ড ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন। যিনি 1947 সালের আগেও আন্দামান স্বাধীন করে তেরঙ্গা উত্তোলন করেছিলেন। মোদী বলেন, ভারতের রয়েছে নিজস্ব একটা আদর্শ, নিজস্ব মাত্রা। আজ ভারতের সিদ্ধান্ত আমাদের, আমাদের লক্ষ্য রয়েছে। আর সে পথেই এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
ব্রিটিশ আমলে শত শত আইন পরিবর্তন হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ যদি রাজপথের অস্তিত্ব অবলুপ্ত হয়ে কর্তব্যের পথে পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয়, পঞ্চম জর্জের মূর্তির চিহ্ন সরিয়ে নেতাজির মূর্তি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। যা দাসত্বের শৃঙ্খলা থেকে আরও একটি মুক্তি বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর। তবে দাসত্বের মানসিকতা বিসর্জনের এটাই প্রথম নজির নয় বলে দাবি তাঁর। ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা শত শত আইন আজ পরিবর্তন হয়েছে বলে মন্তব্য মোদীর। এত দশক ধরে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সময় অনুসরণ করা ভারতীয় বাজেটের সময় ও তারিখও পরিবর্তন করা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতির মাধ্যমে এখন দেশের যুব সমাজকে বিদেশী ভাষার বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্ত করা হয়েছে বলেও মন্তব্য মোদীর।
ব্রিটিশ রাজপথ -
মোদী বলেন, ব্রিটিশদের জন্যে ছিল এই রাজপথ। ভারতের মানুষ তাদের কাছে দাস ছিল। রাজপথের চেতনাও ছিল দাসত্বের প্রতীক এবং এর কাঠামোও ছিল দাসত্বের প্রতীক। আজ এর স্থাপত্যও পরিবর্তিত হয়েছে এবং এর আত্মাও পরিবর্তিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন এদিন প্রধানমন্ত্রী।
রাজপথ হল কর্তব্যপথ! ইন্ডিয়া গেটের সামনে নেতাজির মূর্তি উন্মোচন মোদীর