চাকরিতে বয়সসীমা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত, শীঘ্রই ঘোষণা করতে পারে মোদী সরকার
অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া উচ্চবর্ণের লোকের চাকরিতে বয়সে ছাড় পেতে পারেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সামাজিত ন্যাবিচার মন্ত্রক থেকে কর্মচারী মন্ত্রকে বিষয়টি নিয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।
অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া উচ্চবর্ণের লোকের চাকরিতে বয়সে ছাড় পেতে পারেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সামাজিত ন্যাবিচার মন্ত্রক থেকে কর্মচারী মন্ত্রকে বিষয়টি নিয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে এসসি-এসটি-ওবিসিদের মতো সাধারণ বিভাগের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য সরকারি চাকরিতে বয়সের ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
শীঘ্রই সিদ্ধান্তের সম্ভাবনা
সূত্রের খবর অনুযায়ী এটি কতটা হবে, তা কর্মী মন্ত্রকের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের আরও খবর এনিয়ে দ্রুত কাজ চলছে। কেননা আগামী মাসের মধ্যে ইউপিএসসি-সব বিভিন্ন জায়গায় নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হতে চলেছে। যাতে শূন্যপদের সংখ্যাও রয়েছে প্রচুর।
সম্প্রতি রাজ্যসভায় উত্থাপন
শুক্রবার বিষয়টি রাজ্যসভায় উত্থাপন করা হয়েছিল। বিজেপি সাংসদ জিভিএল নরসীমা রাও বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। সরকারের কাছে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি করেছিলেন তিনি। তিনি আরও বলেছিলেন সরকার সাধারণ শ্রেণির আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া অংশগুলিকে সমাজের মূলস্রোতে সংযুক্ত করার কাজ করছে। চাকরির বয়স বাড়ানো হলে তারা আরও সুবিধা পাবে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সরকার সংবিধান সংশোধন করে সাধারণ শ্রেণির আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে বয়সে ছাড়
এই মুহুর্তে এসসি-এসটি এবং ওবিসিদের বয়সের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে এসসি-এসটিদের ক্ষেত্রে পাঁচবছর এবং ওবিসিদের ক্ষেত্রে ৩ বছর ছাড় দেওয়া হয়ে থাকে।
সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা সাধারণ বিভাগের প্রার্থীদের জন্য ৩২ বছর, ওবিসিদের জন্য ৩৫ বছর এবং এসসি-এসটিদের জন্য ৩৭ বছর নির্ধারিত রয়েছে।