সরকারের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আসল ঘটনার সত্য জানতে চান জেএনইউয়ের প্রাক্তনী অভিজিত বন্দ্যোপাধ্যায়
রবিবার জেএনইউ চত্ত্বরে বহিরাগতদের তাণ্ডবে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ সহ অন্যান্য পড়ুয়া ও শিক্ষকরা। এই ঘটনায় সরব হয়েছেন সব ক্ষেত্রের বিশিষ্ট মানুষজন। এই সময় চুপ করে বসে থাকতে পারেননি জেএনইউয়ের প্রাক্তনী তথা নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত অভিজিত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জেএনইউয়ের আসল ঘটনার সত্য সরাসরি মোদী সরকারের কাছ থেকে জানতে চেয়েছেন। তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটায় তিনি ব্যাথিত। অভিজিত জানিয়েছেন, যে কোনও ভারতীয় যাঁরা দেশের ভাবমূর্তির কথা ভাবেন তাঁরা সকলেই চিন্তিত।

অভিজিত বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমি মনে করি যে কোনও ভারতীয় যাঁরা বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তির জন্য ভাবেন, তাঁরা সকলেই চিন্তিত। জার্মানি যখন নাৎসি শাসনের দিকে অগ্রসর হয়েছিল তখন বহু বছর এ ধরনের প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছিল।’ অভিজিত বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন যে, 'সরকারের উচিত কি ঘটনা ঘটেছে তার আসল সত্যকে তুলে ধরা এবং অভিযোগ–পাল্টা অভিযোগের মধ্যে না গিয়ে প্রকৃত দোষীকে সনাক্ত করা, যারা জেএনইউতে হামলা চালিয়েছে।’ নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ যিনি ৮০–এর দশকে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন তিনি এই ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহহত ও নিন্দা করেন।
তিনি বলেন, 'যাঁরা এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আমি সত্যিই খুব উদ্বিগ্ন তাঁদের নিয়ে। আমি প্রার্থনা করব সকলেই যেন দ্রুত সেরে ওঠেন।’ জেএনইউ আর অভিজিতের সম্পর্কটা আসলে এমনই। শুধু উচ্চশিক্ষাই নয়, এই বিশ্ববিদ্যালয় তো তাঁর জীবন অনেকটাই গড়ে দিয়েছে। তাই নোবেলজয়ের পর দেশে পা দিয়েই ছুটেছিলেন প্রিয় ক্যাম্পাসে। টিটি খেলে, আড্ডা দিয়ে, নতুন প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ছবি তুলে সময় কাটিয়েছিলেন অনেকটাই। সেই ক্যাম্পাসের এমন রক্তাক্ত ছবি তার মর্মে আঘাত করবেই। জেএনইউ–তে পড়াকালীন এই নোবেলজয়ী বাঙালি রীতিমত সক্রিয়ভাবে ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দেন। আন্দোলনে শামিল হয়ে তিহার জেলেও বন্দি ছিলেন। ফলে ছাত্র রাজনীতির এপিঠ–ওপিঠ তাঁর বেশ ভালভাবে জানা।
'হাড়হিম করা' দিল্লির ঘটনা 'কণ্ঠরোধ'এর চেষ্টা মোদী সরকারের! JNU নিয়ে সোনিয়ার হুঙ্কার