বিজেপি শাসিত রাজ্যে নয়, পশ্চিমবঙ্গ, কেরলে ঘটছে গণপিটুনি! বিদ্বজ্জনদের দাবি উড়িয়ে জানাল কেন্দ্র
দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সহশীলতার হারানোর মতো ভিত্তি তৈরি হয়নি। এমনটাই মনে করছে কেন্দ্র।
দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সহশীলতার হারানোর মতো ভিত্তি তৈরি হয়নি। এমনটাই মনে করছে কেন্দ্র। সম্প্রতি দেশের বুদ্ধিজীবীদের একাংশ প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দিয়ে গণপিটুনি ও জয় শ্রীরাম নিয়ে সহশীলতা হারানোর কথা উল্লেখ করেন। তালিকায় দেশের চলচ্চিত্রকারদের একটা বড় অংশ ছাড়াও ইতিহাসবিদ, সাহিত্যিকরা ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার দেশে সাংবিধানিক মূল্যবোধ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতি বদ্ধ।
এদিন
কেন্দ্রের
স্বরাষ্ট্র
দফতরের
রাষ্ট্রমন্ত্রী
জিকে
রেড্ডি
রাজ্যসভায়
বলেন,
২০১৪-র
পর
থেকে
দেশে
সাম্প্রদায়িক
দাঙ্গার
সংখ্যা
হ্রাস
পেয়েছে।
প্রসঙ্গত
২০১৪-তেই
ক্ষমতায়
আসেন
নরেন্দ্র
মোদী।
উল্লেখ
করে
তিনি
বলেন,
দেশে
কারফিউ-এর
মতো
পরিস্থিতি
তৈরি
হয়নি।
মন্ত্রী
জানান
যেখানে
২০১৩
সালে
দেশে
সাম্প্রদায়িক
দাঙ্গার
সংখ্যা
ছিল
৮২৩
টি,
সেখানে
২০১৮তে
তা
কমে
দাঁড়িয়েছে
৭০৮-এ।
কংগ্রেসের তরফে গোলাম নবি আজাদ দেশে গণ পিটুনির ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। তখন মন্ত্রী বলেন, দেশে এই ধরনের ঘটনাই ঘটেনি। তিনি আরও দাবি করেন গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গ কিংবা কেরলের মতো রাজ্যে। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি শাসিত রাজ্যগুলিতে তা ঘটেনি।
এদিন
দেশের
বুদ্ধিজীবীদের
একাংশের
প্রধানমন্ত্রীকে
পাঠানো
খোলা
চিঠির
কথা
প্রকাশ্যে
আসতেই,
সরকার
বিবৃতি
জারি
করে।
সেখানে
অভিযোগ
করা
হয়েছিল,
দেশে
গণপ্রহারের
মতো
ঘটনা
বাড়ছে।
এব্যাপারে
ব্যবস্থা
গ্রহণের
দাবি
করা
হয়
সেই
চিঠিতে।
চিঠিতে
মুসলিম,
দলিত
এবং
অন্য
সংখ্যালঘুদের
ওপর
গণপ্রহারের
যে
ঘটনা
ঘটছে
তার
উল্লেখ
করা
হয়েছে।
এছাড়াও
জয়
শ্রীরাম
যে
উত্তেজনাকর
শব্দ
হয়ে
উঠেছে
তারও
উল্লেখ
করা
হয়েছে
এই
চিঠিতে।
চিঠিতে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ১ জানুয়ারি ২০০৯ থেকে ২৯ অক্টোবর, ২০১৮ পর্যন্ত ২৫৪টি ধর্মীয় পরিচয় ভিত্তিক অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৬ সালে শুধু দলিতদের ওপরেই হামলার ৮৪০ টি ঘটনা ঘটেছে। এইসব ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে প্রশ্ন তোলা হয়েছে চিঠিতে।