নয়া ডিজিটাল বিধিতে গোপনীয়তার অধিকার ইস্যুতে হোয়াটস অ্যাপের পদক্ষেপকে জবাব কেন্দ্রের
একটি নির্দিষ্ট মেসেজর উৎস সম্পর্কে হোয়াটস অ্যাপকে জাবাবদিহি করতে হবে না, তবে কোনও গুরুতর অপরাধমূলক মেসেজ যা দেশের সর্বভৌমত্বকে খর্ব করতে পারে , সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের লাগু করা বিধি অবশ্য পালনীয়। এমনই এক ইঙ্গিত দিয়ে ডিজিটাল আইন ইস্যুতে হোয়াটসঅ্যাপের আদালত যাত্রা নিয়ে বক্তব্য রাখে কেন্দ্র।
কেন্দ্রের তরফে এদিন সাফ বার্তায় বলা হয়েছে, শুধু গোপনীয়তার আইনিই কেন, কোনও অধিকারই দেশে চূড়ান্ত নয়। একই সঙ্গে রবিশঙ্ক প্রসাদের মন্ত্রক বলে, দেশের নাগরিকদের গোপনীয়তার অধিকারকে সম্মান করে কেন্দ্র। কেন্দ্রের এমন কোনও ইচ্ছাই নেই যাতে এই অধিকার বিঘ্নিত হয়। প্রসঙ্গত, ডিজিটাল মিডিয়া ইন্টারমিডিয়ারি গাইডলাউন নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম আইনি পথে কার্যত কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। যার জবাবে ভারত এদিন কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে।
হোয়াটস অ্যাপকে দেওয়া মোদী সরকারের তরফে জবাবে , সাফ বলা হয়েছে, দেশের মাটিতে কোনও অপারেশন চললে, তা দেশের আইনের আওতায় পড়বে। হোয়াটস অ্যাপ যেভাবে সেই নিয়ম না মামার বার্তা দিয়েছে, তাতে তা আইন অমান্যের সামিল হয়েছে। মূলত, এই সপ্তাহ থেকেই দেশের নয়া ডিজিটাল নজরদারিবিধি তালু হয়েছে। যার জেরে নেট মাধ্যমেই আওতায় থাকা বহু লেখার উৎস সম্পর্কে কেন্দ্রের সন্দেহ হলে, তার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারে কেন্দ্র। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরাকরেক তথ্য দিতে বাধ্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি।
সমালোচকদের একাংশের দাবি, মোদী বিরোধিতার ঝড় থামাতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। অনেকেই এটিতে গোপনীয়তা খর্ব করার শামিল বলে দাবি করেছেন। এই পরিস্থিতিতে বহু সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন কু , সরকাররের বিধি মানার জন্য সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। এদিকে উল্টো স্রোতে বয়ে হোয়াটস অ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টে এই মর্মে আইনি লড়াইয়ে নামছে। হোয়াটস অ্যাপের সেই পদক্ষেপকেই কটাক্ষ করে কড়া জবাব দিয়েছে কেন্দ্র।