কোভিডে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিতে অক্সিজেন যোগাবে মোদী সরকারের বাজেট, আশায় বুক বাঁধছে দেশ
কোভিডে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিতে অক্সিজেন যোগাবে মোদী সরকারের বাজেট, আশায় বুক বাঁধছে দেশ
২০২০ সালের মার্চে দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছিল করোনা । তারপর থেকেই মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। একের পর এক সংক্রমণের ঢেউ, লকডাউনের প্রকোপে মন্দা দেখা দিয়েছে দেশজুড়ে। তবে এর মাঝেই ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চলেছে দেশ। এমতাবস্থায় আগামী সপ্তাহেই ২০২২ সালের বাজেট পেশ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
যথারীতি বাজেট নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছে দেশ। অনেকেই মনে করছেন, মোদী সরকারের আগামী বাজেট কোভিডে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির কাছে অক্সিজেন হয়ে ধরা দেবে৷ প্রি-বাজেট রিপোর্ট বলছে, ২০২২ সালের বাজেটে গত বছরের সমস্ত পরিকল্পনার বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হবে৷ বাজেটের মাধ্যমে পুরোনো এবং চলতি পরিক্কল্পনার বাস্তবায়নের পাশাপাশি অঞ্চল ভিত্তিতে মানুষের রোজগার বাড়ানোর পথ প্রশস্ত করবে সরকার। অতিমারির ফলে যে সমস্ত ক্ষেত্রগুলি মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, সেই সমস্ত ক্ষেত্রে আরও জোর দেওয়া হবে৷ রিপোর্টে দাবি, যতদিন না অর্থনীতি ফের নিজস্ব স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে, ততদিন যেন ক্রমাগত অর্থনৈতিক সাহায্য করে সরকার৷
আসন্ন বাজেটে মহামারী বিপর্যস্ত-অর্থনীতিকে সাপোর্ট করার উপর আরও বেশি ফোকাস করা উচিত সরকারের এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জ্বালানী কর কমানোর মাধ্যমে ব্যবহারের চাহিদা বাড়ানো উচিত। একটি প্রাক-বাজেট রিপোর্টে, ইন্ডিয়া রেটিং জানিয়েছে যে দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা প্রদানের জন্য রাজস্ব এবং মূলধন ব্যয়ের বর্তমান প্যাটার্নটি চালিয়ে যাওয়া উচিৎ হবে৷ নতুন বাজেটটি গত বাজেটে নির্ধারিত পরিকল্পনাগুলিকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ এবং মহামারী দ্বারা বেশি প্রভাবিত সেক্টরগুলিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে চাহিদা বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করা উচিৎ হবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মহামারির শুরু থেকেই দেখা গিয়েছে, একাধিক পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের আয় কমেছে৷ পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও৷ বিশেষত জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে লাগামছাড়া হারে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, আয়কর এবং জ্বালানি তেলের করে ছাড় দিয়ে সাধারণ মানুষের সমস্যার সুরাহা করতে পারে সরকার।
২০২০ আর্থিক বছরে কৃষিজ ক্ষেত্রে শ্রমিকদের শেয়ার ছিল ৪২.৫ শতাংশ৷ ২০২১ আর্থিক বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫.৬ শতাংশ। যেখানে আবার উৎপাদন এবং নির্মাণশিল্পে কর্মীদের শেয়ার কমেছে যথাক্রমে ১১.২ শতাংশ এবং ১১.৬ শতাংশ৷ ২০২০ আর্থিক বছরে এই শেয়ার ছিল ১২.১ শতাংশ।