অর্থনীতি চাঙ্গা করতে 'দায়িত্বজ্ঞানহীন' প্রস্তাব! মোদী সরকারের তোপের মুখে 'কর' আধিকারিকরা
করোনা পরবর্তী অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কেন্দ্রকে পরামর্শ দিতে গিয়ে সরকারের কোপে বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় আইআরএস আধিকারিক।
করোনা পরবর্তী অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কেন্দ্রকে পরামর্শ দিতে গিয়ে সরকারের কোপে বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় আইআরএস আধিকারিক। তাঁদের দেওয়ার প্রস্তাবকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলেও সরকারের তরফে বর্ণনা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আইআরএস অফিসারদের পরামর্শ
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী আইআরএস আধিকারিকরা সরকারকে দেওয়া পরামর্শে জানিয়েছিলেন, আয়করের হার ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হোক। যাঁদের আয় এককোটি কিংবা তার ওপরে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই প্রস্তাব করা হয়েছিল। পাশাপাশি যাঁদের সম্পত্তি ৫ কোটির ওপরে, তাঁদের ওপর ফের সম্পত্তি কর ফিরিয়ে আনার কথাও বলা হয়েছিল। যাঁদের আয় ১০ লক্ষ টাকা কিংবা তার বেশি তাঁদের ক্ষেত্রে এককালীন ৪ শতাংশ কোভিড রিলিফ সেস বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সব কিছুই বলা হয়েছিল করোনা মহামারী পরবর্তী অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে।
নাম দেওয়া হয়েছিল 'ফোর্স' রিপোর্ট
আইআরএস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে দেওয়া রিপোর্টের নাম দেওয়া হয়েছিল ফোর্স। যার অর্থ হল ফিসকাল, অপশনস অ্যান্ড রেসপন্স টু কোভিড এপিডেমিক। আইআরএস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে ২৩ এপ্রিল প্রত্যক্ষ কর পর্যদের চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তাদের তরফে ৫০ আইআরএস আধিকারিককে নিয়ে দল গঠনের কথাও জানানো হয়েছিল। কোনও সরকারি নথি নয়, প্রস্তাবের আকারে সরকারের কাছে তা পেশ করা হয়েছিল। তবে রবিবার তাদের তরফে ফের টুইট করে জানানো হয় এটা সব আইআরএস কিংবা আয়কর বিভাগের মত নয়।
দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রস্তাব, বলছে সরকার
আইআরএস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে একদিকে যেমন কর বৃদ্ধি করতে সরকারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিস, অন্যদিকে সেই প্রস্তাব মিডিয়ার কাছেও পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। সরকারের লতরফ থেকে কর আধিকারিকদের একাংশের এই কাজকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করা হয়েছে। এইসব প্রস্তাব সরকারহে বর্তমান কর ব্যবস্থা বিরোধী বলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন।
হতে পারে বিভাগীয় তদন্ত
সরকার মনে করে কর আধিকারিকরা মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছেন। এই রিপোর্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করাটাো ঠিক হয়নি। যা অর্থনীতি ও বাজারের ওপর প্রভাব ফেলতে পারত। কিন্তু বাজার বন্ধ থাকায় তার কোনও প্রভাব পড়েনি। সূত্রের খবর অনুযায়ী প্রত্যক্ষ কর পর্যদকে বলা হয়েছে যাঁরা এই নথি তৈরির পিছনে রয়েছেন, তাঁদের থেকে ব্যাখ্যা তলব করার জন্য।