কোভ্যাকসিনের উৎপাদন বাড়াতে চলেছে কর্নাটক-গুজরাত, বাদ বাংলা! কেন্দ্রের ভরসা তিন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের টার্গেট হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক (bharat biotech) এবং আইসিএমআর (icmr)-এর তৈরি করা কোভ্যাক্সিন (covaxine) দেশের চাহিদা পূরণ করতে পারবে এই বছরের অগাস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে। এর জন্য একদিকে যেমন ভার
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের টার্গেট হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক (bharat biotech) এবং আইসিএমআর (icmr)-এর তৈরি করা কোভ্যাক্সিন (covaxine) দেশের চাহিদা পূরণ করতে পারবে এই বছরের অগাস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে। এর জন্য একদিকে যেমন ভারত বায়োটেক তাদের উৎসাপন বাড়াতে চলেছে, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার তিন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সঙ্গে ইতিমধ্যেই চুক্তি করে ফেলেছে বিষয়টি নিয়ে। কথা চলছে আরও বেস কিছু সংস্থার সঙ্গে।
৩ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা প্রতিমাসে তৈরি করবে এক কোটি ডোজ
টিকা উৎপাদনে কেন বেসরকারি সংস্থার ওপরে নির্ভর করতে হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। এবার টিকা উৎপাদনে রাষ্ট্রয়্ত্ত সংস্থার শরণে মোদী সরকার। হায়দরাবাদের ইন্ডিয়ান ইমিউনোলজিক্যালস লিমিটেড, উত্তর প্রদেশের ভারত ইমিউনোলজিক্যালস অ্যান্ড বায়োলজিক্যালস কর্পোরেশন এবং মুম্বইয়ের হ্যাফকাউন ইনস্টিটিউট কোভ্যাক্সিনের উৎপাদন শুরু করতে চলেছে। নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পাল জানিয়েছেন, সরকারি দল পর্যবেক্ষণ করেছে। চুক্তি প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।
বেসরকারি সংস্থাকে স্বাগত
সরকারের তরফ থেকে এব্যাপারে বেসরকারি সংস্থাগুলির কাছেও আহ্বান জানানো হয়েছে। এমন কী বিশ্বের সব থেকে বড় ভ্যাকসিন তৈরির সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউটও যদি এই কাজে এগিয়ে আসতে চায় তাহলেও স্বাগত জানানো হবে বলে, কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে।
গুজরাতের সংস্থাও তৈরি করবে কোভ্যাক্সিন
হেস্টার বায়ো সায়েন্স এবং ওমনি বিআরএক্সকে সঙ্গে নিয়ে গুজরাত সরকার কেন্দ্রের কাছে ভারত বায়োটেকের কাছ থেকে প্রযুক্তি হস্তান্তর নিয়ে কথা বলেছে। যদি সব কিছু ঠিক থাকে, তাহলে গুজরাত থেকেই ২ কোটি কোভ্যাক্সিন তৈরি হবে। এব্যাপারে গুজরাত সরকারে সঙ্গে কনসোর্টিয়াম তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হেস্টার বায়োসায়েন্সের সিইও এবং এমডি রাজীব গান্ধী।
কর্নাটকেও হবে কোভ্যাক্সিনের উৎপাদন
বেঙ্গালুরু থেকে ৮০ কিমি দূরে কর্নাটকের কোলারা জেলায় মালুরু ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ায় ভারত বায়োটেকের নতুন উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে কেন্দ্রকে দেওয়া প্রস্তাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ভ্যাকসিন উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি জন্য রাজ্য সরকার জমি দিতে প্রস্তুত। তবে এব্যাপারে এখনও কেন্দ্রের মত জানা যায়নি।
সব ল্যাবে কোভ্যাক্সিন তৈরি সম্ভব নয়
কোভ্যাক্সিন তৈরি করা হয় লাইভ ইনঅ্যাকটিভ ভাইরাস দিয়ে। সেই কারণে কেবলমাত্রা বায়ো সেফটি ল্যাব-৩-ই এই ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারে। দেশে এই ধরনের ল্যাব অনেক সংস্থারই নেই। কেননা এই ধরনের ল্যাবেই বিজ্ঞানীদের নিরাপ্ততা সুনিশ্চিত হয়। সেই কারণে খুব তাড়াতাড়ি কোভ্যাক্সিনের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না।
করোনায় সংক্রমণের সংখ্যা কমলেও মৃত্যুতে ভাঙল রেকর্ড, চিন্তা বাড়াচ্ছে কলকাতার কাছের ৫ জেলা