আইএমএফ-এর রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় রাহুল! পাল্টা দিল মোদী সরকার
আইএমএফ-এর (imf) রিপোর্টে বলা হচ্ছে জিডিপিতে ভারত(india) প্রতিবেশী বাংলাদেশের (bangladesh) নিচে চলে যাবে। যা নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (rahul gandh
আইএমএফ-এর (imf) রিপোর্টে বলা হচ্ছে জিডিপিতে ভারত(india) প্রতিবেশী বাংলাদেশের (bangladesh) নিচে চলে যাবে। যা নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (rahul gandhi) । যার পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের (central Govt) তরফে।
করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে খুশির খবর! স্পুটনিক ভি-এর পর রাশিয়ায় এল দ্বিতীয় ভ্যাকসিন, তৈরি তৃতীয়টিও
সংকুচিত হবে জিডিপি
আইএমএফ-এর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে ভারতের জিডিপি ১০.৩ শতাংশ কমে যাবে। জিডিপি কমার জের পড়তে চলেছে দেশের অর্থনীতির ওপরে। ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক আউটলুকের রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের মাথাপিছু জিডিপি হবে ১৮৭৭ ডলার, যেখানে বাংলাদেশের জিডিপি হবে ১৮৮৮ ডলার।
রাহুল গান্ধীর প্রতিক্রিয়া
আইএমএফ-এর তরফে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে ২০২০ সালে জিডিপি বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ভারতকে ছাপিয়ে যেতে পারে। যা নিয়ে মোদী সরকারকে কটাক্ষ করেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছেন, এর থেকে বড় প্রাপ্তি মোদী সরকারের আর কী হতে পারে। মোদী সরকারকে নিশানা করে তিনি বলেছেন, ৬ বছর ধরে গোটা দেশে যে ধৃণার জাতীয়তাবাদ মোদী সরকার ছড়িয়েছে তার পরিণতি এর থেকে আর বেশি কী হতে পারে। মোদী সরকার ফল পাচ্ছে হাতে নাতে, বলেছেন রাহুল।
কেন্দ্রের দাবি
তবে কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, ক্রয় ক্ষমতার নিরিখে ভারতের জিডিপি ২০১৯ সালে ছিল বাংলাদেশের ১১ গুণ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পার ক্যাপিটে জিডিপি এবং পিপিপি( পার্চেজিং পাওয়ার প্যারিটি) দুই দেশের আপেক্ষিক পার্থক্যের ওপরে নির্ণয় করা হয়। ভারতের থেকে বাংলাদেশের পার্থক্য হল ভারতের জনসংখ্যা বাংলাদেশের থেকে ৮ গুণ বেশি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পার ক্যাপিটা জিডিপি মোদী সরকারের আমলে ২০১৪/১৫ সালে ৮৩,০৯১ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৯/20-তে হয়েছে ১.০৮ লক্ষ। ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় ইউপিতে তা বৃদ্ধি পেয়েছিল ১৯.৮ শতাংশ হারে।
আইএমএফ-এর একই রিপোর্টে অন্য কথা
সূত্রের খবর অনুযায়ী আইএমএফ-এর একই রিপোর্টে ভারতের জিডিপি সম্পর্কে বলা হয়েছে, ২০২১-এ বৃদ্ধি পেতে পারে ৮.৮ শতাংশ হারে। অন্যদিকে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা হতে পারে ৪.৪ শতাংশ হারে।