ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে 'যুগান্তকারী' পদক্ষেপ মোদী সরকারের! মার্চ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বলবত
ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে 'যুগান্তকারী' পদক্ষেপ মোদী সরকারের! মার্চ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বলবত
দেশে ভোজ্য তেলের (edible oil) মূল্য নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ কেন্দ্রের মোদী সরকারের (narendra modi govt)। আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত দেশে ব্যবসায়ীরা কতটা ভোজ্য তেল কিংবা তৈল বীজ জমা রাখতে পারবেন, সে ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করেছে। কেন্দ্রের ক্রেতা সুরক্ষা, খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের মন্ত্রী জানিয়েছেন, ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্র যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত (landmark decision) নিয়েছে।
কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে দাম কমবে
মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের জেরে দেশের বাজারে ভোজ্য তেলের দাম কমবে। যার জেরে সারা দেশের সাধারণ মানুষ স্বস্তি পাবেন বলেও মন্তব্য করা মন্ত্রকের তরফে। এমন একটা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, যখন সারা দেশে ভোজ্য তেলের দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে।
দেশের অনেক জায়গাতেই সর্ষের তেলের লিটার ২০০ টাকার ওপরে
কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রকের কাছে সর্বশেষ যে তথ্য রয়েছে, তাতে সর্ষের তেলের গড় মূল্য ১৮৪.১৫ টাকা। এছাড়াও মুম্বই, লখনৌ-র মতো শহর-সহ অন্তত ২২ টি জায়গায় সর্ষের তেলের দাম লিটার পিছু ২০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। দেশের ছটি ভোজ্য তেলের মধ্যে সর্ষের তেলের দাম সব থেকে বেশি। দেশের বাদাম তেলের খুচরো মূল্য কেজি পিছু ১৮১.৬১ টাকা। বনস্পতি ১৩৬.৫৯ টাকা, সয়া ১৫৫ টাকা, সূর্যমুখী ১৬৯.৫৩ টাকা, পাম ১৩২.৯১ টাকা।
অন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারে
কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারের ভোজ্য তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারে। দেশের মানুষকে মূল্যবৃদ্ধির হাত থেকে বাঁচাতে সরকার বহুমুখী নীতি প্রণয়ন করেছে বলে জানানো হয়েছে খাদ্য মন্ত্রকের তরফে। একদিকে যেমন ভোজ্য তেলের স্টক এবং তেল দেশের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, অন্যদিকে এনসিডিসিএক্স-এ সর্ষের তেল এবং তৈল্য বীজের বিক্রির ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ৮ অক্টোবর থেকে।
বাড়ানো হয়েছে নজরদারি
পাশাপাশি
আমদানির
কর
কাঠামোর
পুনর্গঠন
এবং
স্টকহোল্ডারদের
ওপর
নজরদারি
বাড়ানো
হয়েছে
বলেও
জানানো
হয়েছে
খাদ্যমন্ত্রকের
তরফে।
এরপরেও
দেশে
ভোজ্য
তেলের
দাম
নিয়ন্ত্রণে
চেষ্টা
চালিয়ে
যাচ্ছে
কেন্দ্র,
যার
জন্য
নির্দেশিকা
জারি
করা
হচ্ছে।
সব
রাজ্যগুলিটকে
তা
জানিয়েও
দেওয়া
হয়েছে।
এই
নির্দেশিকার
জেরে
রাজ্যগুলিতে
ভোজ্য
তেল
এবং
তৈলবীজ
স্টকের
ব্যাপারে
রাজ্য
সরকারগুলি
সিদ্ধান্ত
নিতে
পারবে।
যদি
দেখা
যায়,
নির্দিষ্ট
সীমার
বাইরেও
কেউ
স্টক
রেখেছেন,
তাহলে
তা
কেন্দ্রীয়
সরকারের
খাদ্য
মন্ত্রকের
ওয়েবসাইটে
তা
জানাতে
হবে।
পাশাপাশি
তা
সেই
রাজ্যের
জন্য
নির্দিষ্ট
স্টকের
অধীনে
আনতে
হবে।