করোনার কারণে অনাথ শিশুদের পাশে মোদী সরকার, স্বাস্থ্যবিমার ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের
দেশে করোনা মহামারীর (corona pancdemic) জেরে অনাথ হয়ে যাওয়া শিশুদের পাশে কেন্দ্রের মোদী (narendra modi) সরকার। তাদেরকে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমা (health insurance) করে দেবে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠা
দেশে করোনা মহামারীর (corona pancdemic) জেরে অনাথ হয়ে যাওয়া শিশুদের পাশে কেন্দ্রের মোদী (narendra modi) সরকার। তাদেরকে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমা (health insurance) করে দেবে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, শিশু ছাড়াও ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত এরকম কিশোর-কিশোরীরাও এই সুবিধার আওতায় আসবে।
ই স্বাস্থ্যবিমার টাকা দেওয়া হবে প্রাইম মিনিস্টার সিনিজেন অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যান্ড রিলিফ ইন ইমারজেন্সি সিচুয়েশন ফান্ড (পিএম-কেয়ার্স) থেকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই প্রকল্পের বিস্তারিত জানিয়েছেন টুইট করে সেই সঙ্গে সরকারি ওয়েবসাইটের লিঙ্কও দিয়েছে। সেখানে বর্ণিত হয়েছে কেন্দ্র কীভাবে ভারতকে স্বনির্ভর করছে সেই সংক্রান্ত তথ্য।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনার জেরে অনাথ হয়ে যাওয়া শিশু কিংবা কিশোর-কিশোরী যাদের বয়স ১৮ বছর পর্যন্ত, তাদের জন্য ৫ লক্ষ টাকার ফ্রি স্বাস্থ্য বিমান করে দেবে কেন্দ্র। যা করা হবে আয়ুষ্মাণ ভারত প্রকল্পের অধীনে। যার টাকা দেওয়া হবে পিএম কেয়ার থেকে।
আয়ুষ্মাণ
ভারত
সরকারের
একটি
প্রকল্প।
২০১৮
সালের
এপ্রিলে
প্রধানমন্ত্রী
মোদী
এই
প্রকল্পের
শুরু
করেছিলেন।
আয়ুষ্মাণ
ভারতের
দুই
বড়
স্তম্ভ
হল
হেলথ
অ্যান্ড
ওয়েলনেস
সেন্টার
এবং
প্রধানমন্ত্রী
জন
আরোগ্য
যোজনা।
এবছরের
২৯
মে
প্রধানমন্ত্রী
মোদী
পিএম
কেয়ারের
অধীনে
শিশুদের
প্রকল্পের
সূচনা
করেছিলেন।
উদ্দেশ্য
ছিল
শিশু,
যারা
করোনায়
তার
বাবা-মা
কিংবা
অভিভাবককে
হারিয়েছে
তাদেরকে
সাহায্য
করাপ
জন্য।
এর
সময়কাল
শুরু
১১
মার্চ,
২০২০।
এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল ওইসব শিশুদের যত্ন এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করা। পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিমার মাধ্যমে তাদের সুস্থতা নিশ্চিত করা। শিক্ষার মাধ্যমে তাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করাও কেন্দ্রের লক্ষ্য। পাশাপাশি ২৩ বছর বয়সে পৌঁছলে তারা যাতে আর্থিকভাবে সক্ষম হয়ে উঠতে পারে, সেদিকেও নজর রাখা হয়েছে এই প্রকল্পে।
যেসব শিশু অনাথ হয়ে পড়েছে, কেন্দ্রের প্রকল্প অনুযায়ী, ১৮ বছর বয়স হলে হলে তারা মাসে মাসে স্টাইপেন্ড পাবে, পাশাপাশি ২৩ বছর বয়স হলে ১০ লক্ষ টাকা পাবে। pmcaresforchildren.in ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
করোনা মোকাবিলায় তহবিল সংগ্রহ করতে এই পিএম কেয়ার ফান্ড তৈরি করা হয়েছিল। এই তহবিল রয়েছে তথ্য জানার অধিকার আইনের বাইরে। পিএম কেয়ারের ট্রাস্টের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চেয়ারম্যান হলেন প্রধানমন্ত্রী। সদস্য হিসেবে থাকতে পারবেন একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। নথিতে বলা হয়েছে, এই ট্রাস্ট কোনওভাবেই সরকারি মালিকানা কিংবা নিয়ন্ত্রণে নেই।
পশ্চিমবঙ্গে পিএম কেয়ার্সের টাকায় বহরমপুর এবং কল্যাণীতে দুটি হাসপাতাল তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। হাসপাতাল দুটি তৈরি করবে ডিআরডিও। যদিও বেশ কিছু অসুবিধার কারণে উদ্যোগ শুরুর পরেও এই সংক্রান্ত কাজ থমকে গিয়েছে।