ইউপিএ জমানার নীতি মেনেই হয়েছে রাফালে চুক্তি! ইঙ্গিত শীর্ষ সরকারি আধিকারিকদের
রাফালে চুক্তি নিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি। দুর্নীতির দায়ে দুষ্ট বলে সরাসরি অভিযোগ ছুঁড়ে দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তবে সরকারের উচ্চ আধিকারিকদের একটি সূত্র বলছে, ইউপিএ জমানার নীতি অনুসরণ করেই রাফালে চুক্তি করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।

বলা হচ্ছে, স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর অনুসরণ না করে ইন্টার-গভার্মেন্টাল এগ্রিমেন্ট সাক্ষর করা হয়েছে। যে নীতি ২০১৩ সালে ইউপিএ সরকার চালু করেছিল।
[আরও পডু়ন: রাজীব কুমারকে জেরার হ্যাটট্রিক, আজ কি মুক্তি সিবিআই নাগপাশ থেকে ]
ভারতের হয়ে যে দল রাফালে নিয়ে দরদাম করেছিল এবং শেষ অবধি ৩৬টি বিমান কেনার কথা ঠিক হয়েছে, ফরাসি সংস্থা ড্যাসল্ট অ্যাভিয়েশন থেকে, সেটা সম্পন্ন করা হয়েছে ইউপিএ জমানার নীতি মেনেই। এমনই জানিয়েছেন এক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক। এমনই খবর সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে।
Rafale Deal: Modi Government followed UPA’s policy on inter-government agreements, provisions had come into place when AK Antony was the Defence Minister
— ANI Digital (@ani_digital) February 11, 2019
Read @ANI Story | https://t.co/AiLqmZeCCq pic.twitter.com/1jzJe9gNUS
২০১৩ সালে ইউপিএ সরকার নয়া নীতি নিয়ে আসে। যার ফলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বর্তমান নীতি অনুসরণ না করেও বন্ধু দেশের সঙ্গে যৌথ সম্মতিতে দুই দেশের সরকারের মধ্যে চুক্তি করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রেই চুক্তির সময় নির্ধারিত শর্তের 'অ-আ-ক-খ' মানা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে দুই দেশ যৌথ সম্মতিতে চুক্তি করে। তবে সিএফএ বা পম্পিট্যান্ট ফিনান্সিয়াল অথোরিটি মেনে চুক্তি অবশ্যই করা হয়।
[আরও পড়ুন: সিবিআই ডেরায় পৌঁছলেন কুণাল, হাতে কোন ফাইল নিয়ে ঢুকলেন তিনি]
এক্ষেত্রেও ২০১৩ সালের ডিফেন্স প্রকিউরমেন্ট প্রসিডিওর চুক্তি মেনে করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যুদ্ধবিমানের চুক্তির সময় ওই ২০১৩ সালের নয়া নীতিই অনুসরণ করা হয়। এই নীতি নেওয়া হয় ইউপিএ জমানায় যখন একে অ্যান্টনি ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।