করোনায় দেশ তিন জোনে বিভক্ত, কে কোন জোনে! লকডাউনে নয়া উদ্যোগ কেন্দ্রের
করোনা মোকাবিলায় লকডাউন এখনই তুলে নেওয়ার ব্যাপারে সম্মত নন প্রধানমন্ত্রী। সম্মত নন ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও। তাঁদের অনেকেই ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যে লকডাউন বাড়িয়ে দিয়েছেন।
করোনা মোকাবিলায় লকডাউন এখনই তুলে নেওয়ার ব্যাপারে সম্মত নন প্রধানমন্ত্রী। সম্মত নন ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও। তাঁদের অনেকেই ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যে লকডাউন বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে এখনও জাতীয় লকডাউন ঘোষণা হয়নি। এই অবস্থায় নতুন এক উদ্যোগ নিল কেন্দ্র। দেশকে তিন জোনে বাগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
দেশকে তিন জোনে ভাগ, কেন
করোনা মোকাবিলায় লকডাউন বজায় রেখেও জনজীবন সচল রাখতে এক নতুন উদ্যোগ নিল কেন্দ্র। কেন্দ্র এবার দেশকে তিন জোনে ভাগ করতে চাইছে। রেড জোন, অরেঞ্জ জোন আর গ্রিন জোন। এইভাবে ভাগ করে লকডাউনের মধ্যেও কিছু ছাড় মিলতে পারে।
জীবন আর জীবিকা- দুইই বাঁচাতে
প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন জীবন আর জীবিকা- দুইই বাঁচাতে হবে। সেই চেষ্টাই করতে হবে। কেননা জীবন থাকলে পৃথিবী থাকবে, আর জীবন বাঁচাতে জীবিকাও দরকার। তাই তিন জোনে দেশকে ভাগ করে এবার নতুন যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে চলেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার।
কে কোন জোনে
মোদী সরকারে নতুন এই উদ্যোগের ব্যাপারে মনে করা হচ্ছে- দেশের যে অংশে করোনার প্রকোপ সবথেকে বেশি, তাকে রেড জোনে ফেলা হচ্ছে। যে অংশে করোনার সংক্রমণ কম, তাকে ফেলা হচ্ছে অরেঞ্জ জোনে। আর যে অংশে করোনার প্রকোপ নেই, সেই অংশকে গ্রিন জোনে রাখা হচ্ছে।
কেন গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে
দেশের এমন ৪০০ জেলা রয়েছে, যেখানে করোনা আক্রান্তের কোনও খবর নেই। ওইসব জেলাকে গ্রিন জোনে রাখা হবে। যেসব জেলায় করোনা আক্রান্ত ১৫-র নিচে। আক্রান্তের সংখ্যা আর বাড়ছে না, সেইসব জেলাকে অরেঞ্জ জোনে রাখা হবে। এইসব জায়গায় আংশিকভাবে যানবাহন চলাচল ও কৃষিকাজের অনুমতি দেওয়া হবে।
কেন রেড জোনে
আর যেসব জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৫-র বেশি এবং এখনও বেড়ে চলেছে সংক্রমণ, সেই জেলাকে রেড জোনে রাখা হবে। এই জেলাগুলিতে সম্পূর্ণ লকডাউন রাখা হবে। এই জেলাগুলিতে আঁটোসাঁটো ব্যবস্থা থাকবে। কোনওরকম ঢিলেমি দেওয়া যাবে না।