দেশে ২২টি ‘হটস্পট’ চিহ্নিত! করোনা মোকাবিলায় লকডাউন নিয়ে নয়া ভাবনা কেন্দ্রের
দেশে ২২টি ‘হটস্পট’ চিহ্নিত! করোনা মোকাবিলায় লকডাউন নিয়ে নয়া ভাবনা কেন্দ্রের
করোনার সংক্রমণ বাড়ছে এ দেশেও। তাই করোনার বাড়বাড়ন্তে দেশের বিশাল জনসংখ্যার কারণে করোনভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত করতে সরকার সংগ্রাম চালাচ্ছে। কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই মহামারীর মোকাবিলায় জানিয়েছিল, এই সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য সতর্ক থাকতে হবে। এজন্য হটস্পটগুলি নিয়ে আলাদা করে ভাবছে কেন্দ্র।
ভারতের ভৌগলিক বিস্তারের কথা চিন্তা করে
এই করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনায় বলা হয়েছিল, কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাসের বর্তমান ভৌগলিক বিস্তার ইনফ্লুয়েঞ্জার বিস্তারকে নকল করে। এ থেকে বোঝা যায়, ভারতের জনসংখ্যার মধ্যে এই মারাত্মক ভাইরাসের বিস্তার আরও বেশি হতে পারে। তবে এটি দেশের সব জায়গায় অভিন্নভাবে প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
দেশে হটস্পট চিহ্নিত করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক
ইতিমধ্যে ২২টি সম্ভাব্য হটস্পট চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই ২২টি উদীয়মান কেন্দ্রগুলিতে যাতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত শূন্যে নামিয়ে আনা যায় তার জন্য নতুন রোগীদের বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। কেন্দ্র্রের মতে, এখনও পর্যন্ত ব্যাপক সম্প্রদায়-সংক্রমণের কোনও প্রমাণ নেই। তাই হটস্পটগুলিতে বাড়ানো হতে পারে লকডাউনের মেয়াদ।
হটস্পটগুলি নিয়ে আলাদা করে ভাবছে কেন্দ্র
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিশেষ সচিব অরুণ সিংহল বলেছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। হটস্পটগুলি নিয়ে আলাদা করে ভাবছে কেন্দ্র। লকডাউন ওঠার আগে কেন্দ্রীয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত হতে পারে। উল্লেখ্য, নিজামুদ্দিনে তাবলিগি জামায়াত আয়োজিত অনুষ্ঠানের ফলে ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে বেশি।
স্থানান্তরে ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি
দিল্লি ও অন্য রাজ্যের অভিবাসী শ্রমিকদের কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, গ্রামীণ ভারত থেকে মহানগরীতে লোক কাজ করতে আসেন। তাঁদের স্থানান্তরে ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলেছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, বিশেষত গ্রামীণ ভারতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সে অর্থে কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। বহিরাগতদের কোভিড ১৯-এর বাহক কি না, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
হটস্পটগুলিতে লকডাউন বাড়ানোর ভাবনা
পরিসংখ্যানবিদরাও ভারতের জনসংখ্যার কথা বিবেচনা করে হটস্পটগুলি সনাক্ত করতে হিমসিম খাচ্ছে। এখন হটস্পটগুলি চিহ্নিত করে সেগুলিতে লকডাউন বাড়ানোর ভাবনাও রয়েছে। অন্য এলাকাগুলিতে লকডাউন শিথিল করা হতে পারে। কিন্তু ১৪ এপ্রিল লকডাউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে হটস্পট চিহ্নিত করাই এখন মস্তবড় চ্যালেঞ্জ।