নাগরিক সংশোধনী বিল নিয়ে বিরোধীদের খোঁচা, ৮ দফা ব্যাখ্যায় জবাব সরকারের
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল লোকসভায় পাস হয়ে গিয়েছে। এবার রাজ্যসভায় পাসের অপেক্ষা। বিরোধীরা প্রচার করছে এই বিল মুসলমানদের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল লোকসভায় পাস হয়ে গিয়েছে। এবার রাজ্যসভায় পাসের অপেক্ষা। বিরোধীরা প্রচার করছে এই বিল মুসলমানদের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়কে বাদ দিতেই এই বিল আনা হচ্ছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে আট দফা ব্যাখ্যা উপস্থাপন করা হল।
১
নাগরিকত্ব
সংশোধনী
বিল
বাঙালি
হিন্দুদের
নাগরিকত্ব
প্রদান
করবে
সরকারের
ব্যাখ্যা
:
নাগরিকত্ব
সংশোধনী
বিলটি
স্বয়ংক্রিয়ভাবে
বাঙালি
হিন্দুদের
কাছে
ভারতীয়
নাগরিকত্ব
দেয়
না।
এটি
আফগানিস্তান,
পাকিস্তান
এবং
বাংলাদেশের
ছয়
সংখ্যালঘু
সম্প্রদায়ের
সদস্যদের
জন্য
কেবল
একটি
কার্যকর
আইন।
সংখ্যালঘুরা
ধর্মীয়
নিপীড়নের
কারণে
এই
তিনটি
দেশ
থেকে
পালিয়ে
এসেছিল
বলে
এটি
অত্যন্ত
মানবিক
ভিত্তিতে
প্রস্তাব
করা
হয়েছে।
২
নাগরিকত্ব
সংশোধনী
বিল
'অসম
চুক্তি'
মিশ্রিত
করেছে
সরকারের
ব্যাখ্যা
:
নাগরিকত্ব
সংশোধনী
বিল
অবৈধ
অভিবাসীদের
শনাক্ত
বা
নির্বাসনের
জন্য
নির্ধারিত
১৯৭১-এর
২৪
মার্চ
অসম
চুক্তির
পবিত্রতা
লঘু
করে
না।
৩
নাগরিকত্ব
সংশোধনী
বিল
অসমের
আদিবাসীদের
স্বার্থের
পরিপন্থী
সরকারের
ব্যাখ্যা
:
নাগরিকত্ব
সংশোধনী
বিল
অসমকেন্দ্রিক
নয়।
এটি
পুরো
দেশের
জন্য
প্রযোজ্য।
নাগরিকত্ব
সংশোধনী
বিল
অবশ্যই
জাতীয়
নাগরিক
নিবন্ধক
(এনআরসি)-এর
বিরুদ্ধে
নয়,
যা
আদিবাসী
সম্প্রদায়কে
অবৈধ
অভিবাসীদের
হাত
থেকে
রক্ষা
করতে
আপডেট
করা
হচ্ছে।
৪
নাগরিকত্ব
সংশোধনী
বিল
বাংলাভাষী
মানুষের
আধিপত্য
দেবে
সরকারের
ব্যাখ্যা
:
হিন্দু
বাঙালি
জনগোষ্ঠীর
বেশিরভাগ
লোক
অসমের
বারাক
উপত্যকায়
বসতি
স্থাপন
করেছে,
যেখানে
বাঙালিকে
দ্বিতীয়
রাষ্ট্রীয়
ভাষা
হিসাবে
ঘোষণা
করা
হয়।
ব্রহ্মপুত্র
উপত্যকায়
হিন্দু
বাঙালিরা
বিচ্ছিন্নভাবে
বসতি
স্থাপন
করেছে
এবং
অসমিয়া
ভাষায়
নিজেকে
খাপ
খাইয়ে
নিয়েছে।
৫
বাঙালি
হিন্দুরা
অসমের
বোঝা
হয়ে
উঠবে
সরকারের
ব্যাখ্যা
:
নাগরিকত্ব
সংশোধনী
বিল
পুরো
দেশে
প্রযোজ্য।
ধর্মীয়
নিপীড়নের
মুখোমুখি
ব্যক্তিরা
কেবল
অসমেই
নেই,
তারা
দেশের
অন্যান্য
অঞ্চলেও
অবস্থান
করছেন।
৬
নাগরিকত্ব
সংশোধনী
বিল
বাংলাদেশ
থেকে
হিন্দুদের
নতুন
করে
দেশান্তরিত
করবে
সরকারের
ব্যাখ্যা
:
বেশিরভাগ
সংখ্যালঘু
ইতিমধ্যে
বাংলাদেশ
থেকে
চলে
এসেছেন।
তদুপরি,
সাম্প্রতিক
বছরগুলিতে
বাংলাদেশে
তাদের
উপর
অত্যাচারের
মাত্রা
নেমে
আসছে।
ধর্মীয়
নিপীড়নের
কারণে
বৃহত্তর
আকারে
স্থানান্তর
এখন
এক
দূরবর্তী
সম্ভাবনা।
৩১
শে
ডিসেম্বর,
২০১৪-র
পর
নাগরিকত্ব
সংশোধনী
বিলের
আওতায়
আসা
ধর্মীয়
সংখ্যালঘু
সদস্যদেরা
সুবিধা
পাবে
না।
৭
নাগরিকত্ব
সংশোধনী
বিল
হিন্দু
বাঙালিদের
আদিবাসী
জমি
দখলের
জায়গা
করে
দেব
সরকারের
ব্যাখ্যা
:
হিন্দু
বাঙালিরা
বেশিরভাগ
উপজাতি
বেল্ট
এবং
ব্লকগুলি
থেকে
দূরে
বারাক
উপত্যকায়
বসতি
স্থাপন
করে।
নাগরিকত্ব
সংশোধনী
বিল
উপজাতি
জমিগুলি
সুরক্ষার
জন্য
আইন
ও
বিধিমালার
বিরোধিতা
করে
না।
সংবিধানের
আইএলপি
এবং
ষষ্ঠ
তফসিলের
বিধানগুলি
যেখানে
প্রয়োগ
হয়,
সেখানে
নাগরিকত্ব
সংশোধনী
বিল
প্রযোজ্য
নয়।
৮
নাগরিকত্ব
সংশোধনী
বিল
মুসলমানদের
বিরুদ্ধে
বৈষম্যমূলক
সরকারের
ব্যাখ্যা
:
যে
কোনও
দেশ
থেকে
যে
কোনও
ধর্মের
বিদেশি
নাগরিকত্ব
আইন,
১৯৫৫-র
বিদ্যমান
বিধান
অনুসারে
যদি
সে
যোগ্যতা
অর্জন
করে,
তবে
সে
ভারতীয়
নাগরিকত্বের
জন্য
আবেদন
করতে
পারে।
নাগরিকত্ব
সংশোধনী
বিলে
এই
বিধানগুলিতে
আদৌ
কোনও
পরিবর্তন
হয়নি।
এটি
কেবলমাত্র
তিনটি
দেশ
থেকে
ছয়
সংখ্যালঘু
সম্প্রদায়ের
অভিবাসীদের
ভারতীয়
নাগরিকত্বের
জন্য
আবেদনের
অধিকার
দেবে।