১৮ বছরে মেয়েদের বিয়ে বেআইনি, বিবাহ আইনে সংশোধনীতে ছাড়পত্র মন্ত্রিসভার
আর ১৮ বছর নয় এবার মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স হতে চলেছে ২১ বছর। নতুন আইনের সংশোধনীতে অনুমোদন দিল মোদীর মন্ত্রীসভা। মনে করা হচ্ছে বিলটি আইনে পরিণত করার জন্য শীতকালীন অধিবেশনেই সংসদে পেশ করা হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়িয়ে ২১ বছর করার কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেটাই এবার তিনি বাস্তবায়িত করতে চলেছেন।

কথা রাখলেন মোদী
১৫ অগাস্টের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দেশের মা-বোনেদের কল্যাণে বিবাহ আইনে কিছু সংশোধনী আনবেন তিনি। মেয়েদের শিক্ষা এবং সুস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে তাঁদের বিয়ের বয়স ১৮ বছর থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করার কথা বলেিছলেন তিনি। ১৫ অগাস্টে দেশবাসীকে দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে এক ধাপ এগোল মোদী সরকার। মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ বছর থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেল।

মন্ত্রিসভায় ছাড়পত্র
পরিকল্পনা অনেকদিন আগে থেকেই চলছিল। নীতি আয়োগ বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছিল। বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে এই নিয়ে পরামর্শও করে মোদী সরকার। তারপরেই মন্ত্রিসভায় মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করার বিল পেশ করা হয় মন্ত্রিসভায়। মোদীর মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিতেই সিলমোহর দিয়েছে এবং মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। এবার সেটা লোকসভা এবং রাজ্যসভায় পেশ করা হবে। সূত্রের খবর শীতকালীন অধিবেশনেই সেই বি পেশ করা হবে।

টাস্ক ফোর্স গড়ে আলোচনা
মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দীর্ঘ আলোচনা করেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। নীতিআয়োগ বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার জন্য একটি টাস্ক ফোর্ট তৈরি করেছিল। যার নেতত্বে ছিেন জয়া জেটলি। ছিলেন ভিকে পাল, স্বাস্থ্যমন্ত্রকে উচ্চ পদস্থ আধিকারীক, নারী কল্যাণ মন্ত্রক এবং আইন মন্ত্রকের আধিকারীকরা। তাঁরা বিবাহ আইন, বাল্য বিবাহ আইন, হিন্দু বিবাহ আইন সহ একাধিক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করেছেন এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়ার আগে। গত বছর জুন মাসে এই টাস্ক ফোর্সটি তৈরি করা হয়েছিল। ডিসেম্বরে সেই টাস্ক ফোর্ট রিপোর্ট দেয় বলে জানা গিয়েছে। তারপরেই এই প্রস্তাবে সিলমোহর দেয় মোদীর মন্ত্রিসভা। বিশেষজ্ঞ কমিটি রিপোর্টে লিখেছিল মেয়েরা ২১ বছর না হলে তাঁদের মা হওয়া ঠিক শরীরের পক্ষে ঠিক নয়।

নজরে ভোট
সামনেই ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোট। তার মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ পাঞ্জাব এবং উত্তর প্রদেশ। উত্তর প্রদেশে অল্পবয়সেই সাধারণত মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। কাজেই ভোটের কথা মাথায় রেখেই আরও এই সংশোধনী আইনে পরিণত করতে তোরজোর শুরু করেছে মোদী সরকার। কারণ মহিলা ভোট ব্যাঙ্ক টার্গেট করে এগোতে চাইছে মোদী সরকার। যে ভোট ব্যাঙ্কের জোরেই বিহারে বিধানসভা ভোটে বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি। জেডিইউকেও পিছনে ফেলে দিয়েছিল জনপ্রিয়তায়।