রাম মন্দির ট্রাস্ট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু কেন্দ্রের মোদী সরকারের
সুপ্রিম নির্দেশ মেনে মন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাস্ট গঠন করার কাজে লেগে পড়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। প্রাথমিক ভাবে সরকারের পক্ষ থেকে ট্রাস্টে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে না রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। খুব সম্ভবত শীতকালীন অধিবেশন শুরু হতেই রামমন্দির নির্মাণ এবং বাবরি মসজিদকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া সংক্রান্ত বিল সংসদে পেশ করতে চলেছে সরকার।

আইন মন্ত্রকের সঙ্গে পরামর্শ সরকারের
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রামমন্দির নির্মাণের ভার এখন কার্যত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে। শীর্ষ আদালত সময় তিনমাসের বেঁধে দিয়েছে। এরই মধ্যে মন্দির নির্মাণের প্রকল্প তৈরি করতে হবে মোদী সরকারকে। গড়তে হবে একটি ট্রাস্ট। এই সংক্রান্ত আইন প্রনোয়ণের জন্য ১৯৯৩ সালের অযোধ্য়া অ্যাক্টের সংসোধনের বিষয়ে কেন্দ্র আইন মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করছে।

বিল ছাড়াও বাকি দিকে নজর সরকারের
এদিকে বিল তৈরি করা ছাড়াও সরকার মন্দি নির্মাণের জন্য আরও আনুসাঙ্গিক বিষয়গুলির দিকে নজর দিচ্ছে সরকার। মনে করা হচ্ছে ২০২২ সালের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আগেই রামমন্দির তৈরির কাজ শুরু করতে চাইছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। পাশাপাশি যোগীর নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারও সর্বস্ব দিয়ে হলেও রাম মন্দির নির্মাণের কাজ সুগম করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

ভোটের দিকে নজর দিয়ে তৎপরতা?
অযোধ্যার রাম মন্দিরকে হাতিয়ার করে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের বৈতরণীও পাড় করতে চাইছেন বিজেপি। সেকারণেই বারবার বলা হচ্ছে ২০২৪ সালের আগেই অযোধ্যার মন্দির নির্মাণ শেষ করা হবে। এই অযোধ্যা রায়কে সামনে রেখেই পরবর্তী লোকসভা ভোটের ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে মোদী সরকার।

২৬ নভেম্বর মসজিদের জমি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড
এদিকে সরকারের দেওয়া জমি আদৌ নেওয়া হবে কি না, সেই বিষয়ে চলতি মাসের ২৬ তারিখ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। এদিকে মসজিদের জন্য বিকল্প পাঁচ একর জমি দেওয়ার নির্দেশকে 'অপমানজনক' বলে মন্তব্য করেছেন এআইএমআইএম নেতা, সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়াইসি।