অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু নিয়ে ঢোক গিলল মোদী সরকার, রাজ্যগুলির কাছে তথ্য তলব
অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু নিয়ে ঢোক গিলল মোদী সরকার, রাজ্যগুলির কাছে তথ্য তলব
চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত ঢোক গিলতে হল মোদী সরকারকে। অক্সিজেনের অভাবে কতজনের মৃত্যু হয়েছে জানতে রাজ্য গুলির কাছে । কয়েকদিন আগেই রাজ্য সভায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী দাবি করেছিলেন গোটা দেশে করোনার সেকেন্ড ওয়েভে অক্সিজেনের সংকটে একজনেরও মৃত্যু হয়নি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর এই বয়ানের পরেই সমালোচনা শুরু হয়ে যায় গোটা দেশে।
অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়নি
অক্সিজেনের অভাবে এক জনেরও মৃত্যু হয়নি। রাজ্যসভায় এমনই দাবি করেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন করোনার সেকেন্ড ওয়েভে অক্সিজেনের অভাবে মারা গিয়েছে এমন তথ্য কেন্দ্রের কাছে নেই। কোনও রাজ্য এইরকম কোনও তথ্যও জানায়নি। তবে অক্সিজেনের চাহিদা দ্বিগুণ হয়েছিল সেটা স্বাকার করে নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রের সমালোচনা
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর এই বয়ানের পর শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রীতিমত প্রকাশ্যে মোদী সরকারকে নিশানা করে বলেন, কোনও তথ্য রাজ্যগুলির কাছে চায়নি কেন্দ্র। গোটা দেশকে ভুল পথে চালনা করছে মোদী সরকার। প্রকৃত সত্য সামনে আসতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে বলেছিলেন তিনি। কংগ্রেসও এই নিয়ে সরব হয়েছিল।
রিপোর্ট চাইল কেন্দ্র
তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে অবশেষে করোনার সেকেন্ড ওয়েভে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর তথ্য তলব করল কেন্দ্র। রাজ্য গুলির কাছে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর গোয়ায় করোনার সেকেন্ড ওভেভে অক্সিজেনের অভাবে প্রায় ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। অন্ধ্রপ্রদেশে ১১ জন মারা যান। দিল্লিতে একটি হাসপাতালেই ২১ জন মারা গিয়েছিলেন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে।
অক্সিজেন সংকট
করোনা ভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভে চরম অক্সিজেন সংকট তৈরি হয়েছিল গোটা দেশে। রাস্তায় পড়ে অক্সিজেনের জন্য ছটফট করেছেন মানুষ। অক্সিজেন সংকটের সুযোগ নিয়ে কালোবাজারি তৈরি হয়েছিল গোটা দেশে। এই নিয়ে গোটা দেশে অক্সিজেন এক্সপ্রেস চালিয়েছে মোদী সরকার। এমন কী বিদেশ থেকেও অক্সিজেন আমদানি করতে হয়েছে মোদী সরকারকে।