সদ্যপ্রকাশিত মোদীর জীবনী অনুযায়ী, ২০০২ সালের দাঙ্গায় মোদী দুঃখিত, দোষী নয়
বইটির নাম 'নরেন্দ্র মোদী : আ পলিটিক্যাল বায়োগ্রাফি'। ব্রিটিশ লেখক তথা টিভি প্রযোজক অ্যান্ডি মারিনো বইটি লিখেছেন। বইটিতে লেখা হয়েছে, যে দাঙ্গায় উস্কানি দেওয়ার জন্য কুৎসাকারীরা মোদীর বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছিলেন, তাদের উদ্দেশে মোদী বলেছিলেন তিনি দোষি নন। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর, মোদী লেখককে জানিয়েছিলেন, যা হয়েছে আমি তার জন্য দুঃখিত, কিন্তু দোষী নই। কোনও আদালতই তা প্রমাণের কাছাকাছিও আসতে পারেনি।
দাঙ্গার পরে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন মোদী,বইতে লিখেছেন মারিনো
পিটিআই সূত্রের খবর, তাঁর সঙ্গে থাকার জন্য মারিনোকে সম্পূর্ণ ছুট দিয়েছিলেন মোদী। মোদীর বিদেশ সফরে, হেলিকপ্টারে, জনসভায় মারিনোর অবাধ প্রবেশ ছিল। বেশ কিছু সপ্তাহ টানা মোদীর সঙ্গে থেকে তাঁর সাক্ষাৎকার নেন মারিনো।
৩১০ পাতার এই বইটি সদ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এমন একটি সময়ে বইটি প্রকাশ করা হয়েছে যখন বিজেপির এই প্রার্থী বাকি সবাইকে পিছনে ফেলে প্রধানমন্তরী হওয়ার দৌড়ে তড়তড়িয়ে এগোচ্ছেন। এতদিন যেই মোদীর সমালোচকেরা সাম্প্রদায়িক অভিসন্ধি চালানোর জন্য তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছিল, এখন সেই মোদীই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে উন্নয়নের কর্মসূচি নিয়েছেন। এখন তিনি গুজরাতের তাঁর সরকারের অধীনে শক্তিশালী আর্থিক বিকাশের খতিয়ান তুলে ধরছেন।
গত ডিসেম্বর মাসে নিজের একটি ব্লগে নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার দাঙ্গার সময়ে তাঁর মানসিক অবস্থার কথা লেখেন। গোটা পর্বটিতে , 'যন্ত্রণা','মনোবেদনা', 'প্রবল দ্বন্দ্ব'-এর মতো শব্দের প্রয়োগ করা হয়েছিল। বইতে লেখা হয়েছে, দাঙ্গা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে ওদের কাজ করতে দাও। আমি কোনও সংঘাতে যাব না। সংঘাতে গিয়ে আমি আমার সময় নষ্ট করতে চাই না।
ব্রিটিশ লেখক অ্যান্ডি মারিনো তার এই বইতে জানিয়েছেন, ২০০২ সালের সেই ভয়াবহ দাঙ্গার পর মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু দলের ইচ্ছাতে আর পদত্যাগ করতে পারেননি মোদী।