এবারের মার্কিন সফর মোদীর কাছে বড় অগ্নিপরীক্ষা, কেন জানেন
নজরদারি ড্রোন নিয়ে ট্রাম্পকে রাজি করানোই প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রধান চ্যালেঞ্জ। ভারত না চিন,কাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট? বিশেষ সারভাইলেন্স ড্রোন পেলে কদর বাড়বে ভারতের।
আমেরিকার কাছ থেকে অস্ত্রবিহীন ড্রোন কেনাই এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামী রবিবার থেকেই মোদীর মার্কিন সফর শুরু হচ্ছে। এই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর মুখোমুখি সাক্ষাৎ হতে চলেছে। কিন্তু প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন, ট্রাম্পের কাছ থেকে সেই প্রতিশ্রুতি আদায়ই প্রধানমন্ত্রী মোদীর অগ্নিপরীক্ষা।
ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য় বেশকিছুদিন ধরেই ২২টি অস্ত্রবিহীন ড্রোন কেনার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের। এবিষয়ে আমেরিকার সঙ্গে কথাবার্তাও চলছে। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী শুধুমাত্র ন্যাটোর সদস্য দেশগুলিই এই নজরদারি ড্রোন কিনতে পারে। সম্প্রতি চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক যে জায়গায় দাঁড়িয়ে,তাতে ভারত- চিনের সীমান্তে ড্রোন নজরদারি অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে। অন্য়দিকে বারাক ওবামা মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত যতটা গুরুত্ব পেত, ডোনাল্ড ট্রাম্প কিন্তু প্রতিরক্ষা নিয়ে চিনের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলাতেই বেশি আগ্রহী। বেইজিংয়ের সাহায্যেই ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি দমন করতে চাইছেন বলে মত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের। সেই জায়গায় ভারতকে ড্রোন বিক্রি করা নিয়ে ট্রাম্প কতটা ইতিবাচক ভূমিকা নেবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদী যদি ড্রোন কিনতে সফল হন, তাহলে ভারতই ন্যাটো সদস্য নয় এমন প্রথম দেশ হবে, যার কাছে সারভাইলেন্স ড্রোন থাকবে। ভারতীয় সেনাবাহিনী আমেরিকার কাছ থেকে মিসাইল বহন করতে সক্ষম অ্যাভেঞ্জার এয়ারক্রাফট চাইলেও সেসময়ে বারাক ওবামা প্রশাসন সেই অনুরোধ প্রত্যাখান করেছিল।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, চিন নয়, এই মুহূর্তে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়েই বেশি ভাবছে আমেরিকা। ভারত - পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝে পড়ে গিয়েছে আমেরিকাও। ফলে প্রধানমন্ত্রী মোদী ড্রোন নিয়ে ট্রাম্পকে কীভাবে রাজি করান সেদিকেই তাকিয়ে আন্তর্জাতিক মহল।
দু'দিনের আমেরিকা সফরে অবশ্য এইচ ওয়ান বি ভিসা নিয়েও ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এবিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বিশেষ চাপ দেওয়া হবে না বলেই জানা গিয়েছে। প্রতিরক্ষার পাশাপাশি অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।