কর্মসংস্থান এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ২ সদস্যের বিশেষ কমিটি গড়লেন মোদী
দ্বিতীয়বার নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদে বেছে নিয়েছে গোটা দেশ। তাই এবার চ্যালেঞ্জ একটু বেশি।
দ্বিতীয়বার নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদে বেছে নিয়েছে গোটা দেশ। তাই এবার চ্যালেঞ্জ একটু বেশি। তাই নর্থ ব্লকে এনডিএ-র দলনেতা নির্বাচিত হওয়ার পর সব জনপ্রতিনিধিদের মোদী বলেছিলেন, এবার চরম পরীক্ষা। এবার ভুল হলে আর মানুষ তৃতীয়বার সুযোগ দেবেন না। কারণ তিনি ভাল করেই জানেন এবার তাঁর দেশ পরিচালনা সবসময় আতশকাঁচের তলায় থাকবে।
তাই যাতে কোনও রকম ত্রুটি না থাকে প্রথম থেকেই সতর্ক মোদী এবং তাঁর মন্ত্রীরা। তারপরে আবার বিশ্বব্যাঙ্ক বুধবার মোদীর শাসনে আর্থিক সমৃদ্ধি নিয়ে সিলমোহর দিয়েছে। সেকারণেই আরও বাড়তি সতর্কতা নিয়েছেন মোদী। কারণ এই উন্নয়নের ধারা বজাই রাখাই এখন তাঁর বড় চ্যালেঞ্জ। দেশের আর্থিক উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ২ সদস্যের বিশেষ কমিটি গড়েছেন তিনি। যাতে রয়েছেন মন্ত্রী পর্যায়ের দু'জন। এর আগে মন্ত্রিসভার হেভিওয়ের পাঁচ মন্ত্রী দেশের আর্থিক বিকাশ নজরে রাখছেন। যার নেতৃত্বে রয়েছেন মোদী নিজে। এই কমিটিতে রয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গড়করি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।
এছাড়াও দশ সদস্যর পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে যাঁরা কারিগরি উন্নন এবং কর্মসংস্থানের বিষয়টি বিশেষ নজরে রাখবে। কারণ লোকসভা ভোটে বিরোধীদের অন্যতম ইস্যু ছিল কর্মসংস্থান। ২০১৪ লোকসভা ভোটে মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বছরে ২ কোটি চাকরি দেবেন। কিন্তু তার কোনওটাই তিনি করে উঠতে পারেননি। এই নিয়ে বিরোধীরা সরব হয়েছিল। এছাড়া এবার মোদীর ভোট ব্যাঙ্কের সিংহভাগ জুড়ে ছিল দেশের যুব সম্প্রদায়। ভোটে জেতার পর তাই কর্মসংস্থান করা বড় চ্যালেঞ্জ মোদী ২.০ মন্ত্রিসভার।