অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, প্রতিরক্ষায় রাজনাথ সিং, বিদেশের দায়িত্বে সুষমা?
যেমন অর্থমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন অরুণ জেটলি। তিনি নরেন্দ্র মোদীর পছন্দের লোক। ২০১২ সালে গুজরাত বিধানসভা ভোটের সময় সেখানে নরেন্দ্র মোদীর সমর্থনে লাগাতার প্রচার চালিয়েছিলেন এই বর্ষীয়ান নেতা। তা ছাড়া, আর্থিক সংস্কারের ঘোর সমর্থক অরুণ জেটলিকে অর্থমন্ত্রী করলে আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি দ্রুত ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে। সুষমা স্বরাজ পেতে পারেন বিদেশ মন্ত্রক। এক সময় ইনিই নরেন্দ্র মোদীর সবচেয়ে বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর বিপুল অভিজ্ঞতা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে আগ্রহ ইত্যাদি দেখে তাঁকে এই গুরুভার দিতে রাজি নরেন্দ্র মোদী।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যিনি কট্টর নীতি অবলম্বনের পক্ষপাতী, সেই রাজনাথ সিং পেতে পারেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এখন তিনি বিজেপি সভাপতি। এবার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন লখনউ থেকে। প্রাক্তন সেনাকর্মীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা রয়েছে রাজনাথ সিংয়ের।
সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দেওয়া হতে পারে মনোহর পারিক্করকে। এখন তিনি গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী। লোকসভা ভোটে না লড়লেও তাঁকে রাজ্যসভা থেকে জিতিয়ে আনা হতে পারে। নকশাল কার্যকলাপ এবং মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে কঠোর দৃষ্টিভঙ্গি নেওয়ার পক্ষপাতী মনোহর পারিক্কর।
এ ছাড়া, দলের প্রাক্তন সভাপতি নীতিন গড়করি পেতে পারেন ভূতল পরিবহণ মন্ত্রক। বেঙ্কাইয়া নাইডু পেতে পারে কৃষি মন্ত্রক। কর্নাটকে দাপুটে বিজেপি নেতা অনন্তকুমার পেতে পারেন সংসদ-বিষয়ক মন্ত্রক। আইনমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রবিশঙ্কর প্রসাদ। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হতে পারেন রাজীবপ্রতাপ রুডি। তুখোড় বক্তা তথা বিজেপি-র মুসলিম মুখ শাহনওয়াজ হুসেন পেতে পারেন সংখ্যালঘু-বিষয়ক মন্ত্রক। অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে যিনি অর্থমন্ত্রী ছিলেন, সেই যশবন্ত সিনহা হতে পারেন যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান।
অন্যদিকে, প্রবীণ নেতা মুরলীমনোহর যোশিকে লোকসভার স্পিকার করার কথা ভাবা হচ্ছে। যদিও তিনি নিজে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক পেতে আগ্রহী। প্রসঙ্গত, অটলবিহারী বাজপেয়ীর সময় তিনি ওই মন্ত্রকেরই দায়িত্বে ছিলেন।