বিশ্বদরবারে এসসিও মিট-এ ৬ মিনিটের ঝোড়ো ভাষণে কট্টরপন্থাকে টার্গেটে রাখলেন মোদী
উপস্থিত ছিল চিন ও পাকিস্তান। এদিকে, তাঁর জন্মদিনের দিন সাংহাই কোঅপরেশন অর্গানাইজেশনের ২১ তম বৈঠকে প্লেনারি সেশনে ৬ মিনিটের ভাষণে দুই দেশকে নাম না করে কার্যত দিল্লির অবস্থান স্পষ্ট করে দেন মোদী। পাশাপশি এই মিটে এসসিওর নয়া সদস্য ইরানকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এর সঙ্গেই আফগানিস্তান পরিস্থিতিকে সামনে রেখে কার্যত ঝোড়ো ভাষণে দিল্লির কূটনৈতিক চালের তুখোর দানে এদিন বাজিমাত করেন প্রধানমন্ত্রী।
ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মোদী
এদিনের বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট করে দিলেন দেশের অবস্থান। এসসিও বৈঠকে মোদী বলেন, 'মধ্য এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে ভারত বদ্ধপরিকর। আমরা বিশ্বাস করি চারিদিকে দেশ দিয়ে ঘেরা মধঅয এশিয়া ভারতের বাজারে বিপুল বাণিজ্য করতে পারবে।' একই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী এদিনের এসসিও মিটে যে সমস্ত দেশ রয়েছে তাদের মধ্যে নতুন সদস্য ইরানকে স্বাগত জানান। মিটের তিনটি নতুন 'ডায়লগ পার্টনার' দেশ সৌদি, মিশর , কাতারকেও তিনি স্বাগত জানান।
এক পাক্ষিক সংযোগ হয় না
এদিন কার্যত পাকিস্তান ও চিনকে সামনে রেখে নাম না করে মোদী সংযোগ স্থাপন ও বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের কথা বলেন। তিনি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন ইস্যুতে মোদী বলেন, 'সংযোগ কখনওই এক পাক্ষিক হয় না। ' তিনি বলেন, দ্বিপাক্ষিক আলোচনা, সহযোগিতা, স্বচ্ছ্বতাকে সামনে রেখেই সংযোগ স্থাপন সম্ভব হয়। তা ছাড়া কিছুতেই এক পাক্ষিক সংযোগ স্থাপিত হয় না। মোদী বলেন ,একে অপরের দেশের সীমানার ভিতরের একাত্মবোধকে সম্মান করার মধ্যে দিয়েই এই দ্বিপাক্ষিকসংযোগ স্থাপিত হয়। কার্যত চিন ও পাকিস্তানকে তুলোধনা করে মোদী এদিন এই বক্তব্য রাখেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আফগানিস্তান নিয়ে বার্তা
এদিন আফগানিস্তান নিয়ে কার্যত দিল্লির অবস্থান ফের একবার স্পষ্ট করে দেন মোদী। তিনি বলেন, ২০ তম এসসিও বৈঠকই ভাবিয়ে দিচ্ছে যে আগামীর এসসিও বৈঠক কী হতে পারে। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বড় চ্যালেঞ্জ হল শান্তি, স্বচ্ছ্বতা, ও বিশ্বাস যোগ্যতার অভাব সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ। এবিষয়ে তিনি আফগানিস্তান পরিস্থিতি ও কট্টরপন্থার প্রভাবের প্রসঙ্গ তোলেন। উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন কার্যত সমর্থন পেয়েছে তিন ও পাকিস্তানের কাছ থেকে । সেই তালিবান শাসিত আফগানিস্তান নিয়ে এদিন বড় বার্তা দেন মোদী।
কট্টরপন্থা নিয়ে মোদী
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যে আসন্ন সময়ে কট্টরপন্থা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে চলেছে। সেই জায়গা থেকে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি একটি বড় দৃষ্টান্ত। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৫ অগাস্ট কাবুল দখল করে তালিবান। ২০ বছর পর তরা ফের একবার কট্টরপন্থা নিয়েই আফগানিস্তান শাসনে এগিয়ে গিয়েছে মার্কিন সেনা সেদেশ ছাড়ার পর। যে পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লি বেশ উদ্বেগে। আফগানিস্তান থেকে ভারতীয়দের উদ্ধার করা নিয়ে বারবার বার্তা দিয়েছে মোদী সরকার।