মোদীকে মাত শেখ হাসিনার! এনআরসি-সমাধান অধরা রেখে রোহিঙ্গায় দাবি আদায়
এনআরসিতে নাম নেই যাঁদের, তাঁদের ভবিষ্যৎ কী? উত্তর মিলল না মোদী-হাসিনা বৈঠকের পরও। উভয়ের বিবৃতিতে এনআরসির উল্লেখই নেই।
এনআরসিতে নাম নেই যাঁদের, তাঁদের ভবিষ্যৎ কী? উত্তর মিলল না নরেন্দ্র মোদী- শেখ হাসিনা বৈঠকের পরও। উভয়ের বিবৃতিতে এনআরসির উল্লেখই নেই। ফলে এনআরসিতে নাম না থাকা মানুষগুলোর ভবিষ্যৎ সেই ঝুলেই রইল। রোহিঙ্গা নিয়ে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হল এনআরসি নিয়ে স্পিকটি নট দুই প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রপ্রধান।
প্রতিশ্রুতি দল ভারত
এদিন মোদী-হাসিনা বৈঠকে তিস্তা জলবণ্টন নিয়ে চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দল ভারত। রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠাতে দুই দেশ একযোগে কাজ করার ব্যাপারেও সম্মত হয়। কিন্ত এনআরসিতে নীরব থাকে দুই দেশ। শনিবার দুপুরে হায়দরাবাদ হাউসে বৈঠকে বসলেও এনআরসি নিয়ে কোনও আশার আলো দিতে পারেননি মোদী।
মধ্যস্থতা হল কই এনআরসিতে!
অনেকেই ভেবেছিল বিদেশি নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত মানুষগুলোকে নিয়ে দুই দেশের প্রধান কিছু একটা মধ্যস্থতায় আসবেন। কিন্তু কোথায় কী! বৈঠকে কোনও ইঙ্গিতই মিলল না। একবার এনআরসি প্রসঙ্গ উঠলেও হাসিনা সাফ জানিয়ে দিলেন, ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশ থেকে ভারতে কেউ অনুপ্রবেশ করেনি।
আশ্বাস দিয়েছেন মোদী
উভয়ে যৌথ বিবৃতিতে এনআরসি নিয়ে কিছু না বললেও, শিল্প, শিক্ষা ও শক্তি ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করবে দুই দেশ। তিস্তার জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে মোদী আশ্বাস দিয়েছেন হাসিনাকে। বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সমস্যা মেটাতেও ভারতের সাহায্য পাবেন হাসিনা, আশ্বাস দিয়েছেন মোদী।