'মোবাইল ফোনের ব্যবহারে মারণ রোগ হয়', কে বলে এসব মিছে কথা?
'বাবু সারাক্ষণ ফোন নিয়ে ঘাটাঘাটি করিস না। ফোনের বিকিরণে কত রোগ হয় জানিস?'
'চারিদিকে এত ক্যান্সার বাড়ছে কেন যানেন বিপিনবাবু। এই প্রজন্মের অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের জন্য'।
আরে ধুর ! এইসব মিছে কথা কে বলে? যার এসব বলে তাদের জন্য়ই এখবর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দিয়েছেন মোবাইল টাওয়ার বা ফোনের বিকিরণের (রেডিয়েশন) কারণে কোনও রোগ-ভোগের সম্ভাবনা নেই। এবং ফোনের জন্য ক্যানসারও হয় না।
টেলিভিশন ও এফএম রেডিওর তুলনায় মোবাইল ফোনের বিকিরণের হার অনেকটাই কম
মোবাইল ফোন যে মানব শরীরকে কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে না তা প্রমাণ করে দিয়েছে হু-এর সমীক্ষা। ক্যানসার, ব্রেন টিউমার তো নয়ই সামান্য মাথাব্যাথা বা ঘুমের অনিয়মও হয় না মোবাইল ফোনের জন্য। হু-এর বিকিরণ ও পরিবেশগত স্বাস্থ্য় ইউনিটের প্রথম কো-অর্ডিনেটর ও বিকিরণ বিশেষজ্ঞ মাইকেল রেপাকোলি অন্তত এমনটাই জানাচ্ছেন।
'মোবাইল ফোনস অ্যান্ড পাবলিক হেল্থ- মিথ অ্যান্ড রিয়্যালিটি' বইটির উদ্বোধনে এসে এমনটাই বলেন রেপাকোলি। এমনকী টেলিভিশন ও এফএম রেডিওর তুলনায় মোবাইল ফোনের বিকিরণের হার অনেকটাই কম।
শুধু এই নয়, মোবাইল ফোনের বিকিরণ নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি হলে তা মানুষের শারীরিক অবস্থায় প্রভাব ফেলতে পারে বলে যে প্রচলিত ধারণা রয়েছে তাও খারিজ করে দেন রেপাকোলি।
বইটির সম্পাদক রবি ভি এস প্রসাদ জানিয়েছেন, বিশ্বের কোনও গবেষণাই প্রমাণ করতে পারেনি যে মোবাইল টাওয়ার বা ফোনের ব্যবহার বিপরীত প্রভাব ফেলে। মোবাইল ফোনের শক্তির নির্গমন সূর্যের শক্তির এক সহস্রাংশ হয়। তাই মানুষের শরীরের উপর এর কোনও প্রভাব পড়ে না।