করোনা ঠেকাতে বড় ভূমিকা নিচ্ছে মোবাইল লোকেশন! গবেষণায় উঠে আসছে একাধিক চমকপ্রদ তথ্য
করোনা রুখতে শুরু থেকেই আরোগ্য সেতু অ্যাপ ব্যাবহারের উপর জোর দিয়েছে কেন্দ্র। যদিও ওই অ্যাপের একাধিক ব্যক্তিগত গোপনীয় সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বারবারই উঠেছে প্রশ্ন। কিন্তু কেন্দ্রের যুক্তি করোনা কবলিত যুক্তি ও করোনা ছড়ানো রুখতে এই অ্যাপই বড় ভূমিকা নিতে পারে। বর্তমানে একটি মার্কিন গবেষণাপত্রেও মোবাইল লোকেশনের মাধ্যমে করোনা কবলিত এলাকা চিহ্নিতকরণের বিষয়ে একাধিক চমকপ্রদ তথ্য উঠে আসছে।

জ্যামা ইন্টারনাল মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিতও হয়েছে এই গবেষণাপত্র
সম্প্রতি জ্যামা ইন্টারনাল মেডিসিন জার্নালে এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। এই গবেষমা চলাকালীন প্রায় ২২০০০ থেকে ৮৪০০০ পয়েন্টের ডেটা বিশ্লেষণ করা হয় বলে খবর। এই গবেষণাতেই দেখা যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্টে-হোম-অর্ডার চলাকালীন কর্মক্ষেত্রে মানুষের গতিবিধি অনেকটাই কমে আসে।

মোবাইল লোকেশন ব্যবহার করেই করোনাকে ঠেকানোর চেষ্টা
এই সমস্ত তথ্যই মোবাইলের লোকেশন সনাক্ত করে পেতে সক্ষম হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি এই সময় অনেক কম মানুষই মুদির দোকান, পার্কে গেছেন। যার জেরে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থেকেছে করোনা সংক্রমণ। দুটি সময়সীমার মধ্যে তুলনা করে এই তথ্য সামনে আনা হয় বলেো খবর।

দুটি সময়সীমার তুলনা করেই সামনে আসে তথ্য
প্রথমে করোনা পূর্ববর্তী সময়ে মানে জানুযারি-ফেব্রুয়ারি মাসের তথ্য যাচাই করে মানুষের গতিবিধি সম্পর্কে বিশদ পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকেরা। পরবর্তীতে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে মে মাসের গোড়ার দিকে ভাইরাসের প্রাথমিক উত্থানের সময়কে ধরেও চলে পর্যালোচনা। মার্কিন গবেষকেরা বলছেন প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোনোয় সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাড়িতে সময় ব্যায় করার পরিমাণও উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে।

সাহায্য নেওয়া হচ্ছে গুগল লোকেশনের
গবেষকেরা আরও বলচেন করোনাকালীন পরিস্থিতিতে অনেক কর্মস্থল খোলা থাকলেও সেখানে অনেকটাই কম গেছেন মানুষ। রেস্তোঁরাগুলিতে এবং বাস-ট্রেন স্টেশনগুলিতে মানুষের গতিবিধি অনেকটাই কম নজরে পড়েছে। করোনাকালীন সময়ে গুগলের সাহয্য নিয়ে এই সমস্ত জায়গাকেই চিহ্নিত করছেন। হিসাব করা হয়েছে কোন জায়গায় কত মানুষের সমাগত হয়েছে গত কয়েকমাসে। তারমধ্যেই আমেরিকার কোন প্রদেশ করোনা ক্ষেত্রে সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ তা সামনে আনছেন গবেষকেরা।

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি নির্মল মাজি