উত্তরপ্রদেশের ১৪ জেলায় বন্ধ ইন্টারনেট, সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে হিংসা ছড়ানোয় আটক ৩৫০০
নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গা। আগিলগড়, মউ-এর মতো সহরের পর নাগরিকত্ব আইন বিরোধী হিংসার আগুন ছড়িয়েছে রাজ্যের রাজধানী লখনউতেও। বৃহস্পতিবার মাদেগঞ্জের পুলিশপোস্টে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় প্রতিবাদকারীরা। একই চিত্র আলিগড়, আজমগড়ে। পরিস্থিতি প্রায় একই রকম ছিল উত্তরপ্রদেশের সম্ভল ও হাসানগঞ্জেও। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ও হিংসা ঠেকাতে উত্তরপ্রদেশের ১৪ জেলায় ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে হিংসা ছড়ানোয় আটক করা হয়েছে ৩৫০০ জনকে।
কড়া নজর রাখছে পুলিশ
আজ শুক্রবার, লখনউ সহ উত্তরপ্রদেশের একাধিক সহরে জুম্মার নামাজের জন্য বড় জমায়েত হবে। নামাজের পর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল বা কোনও হিংসা না ছড়ায় সেই দিকে নজর রাখছে প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে শান্তি বজায় রাখতে ও ভুয়ো খবর ছড়ানো আটকাতে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত লখনউতে ইন্টারনেট ও এসএমএস পরিষেবা বন্ধ করে দিল প্রশাসন। পাশাপাশি লখনউ সংলগ্ন জেলাগুলি থেকে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েনের জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে রাজ্য রাজধানীতে। শুধু লখনউ থেকেই হিংসা ছড়ানোর দায়ে মোট ৭০ জনকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
ধৃতদের মধ্যে রয়েছে বাঙালিও
এদিকে ডিজিপি ওপি সিং বলেন, 'আমরা হিংসা ছড়ানোর দায়ে লখনউ থেকে এখনও পর্যন্ত ৭০ জনকে গ্রেফতার করেছি। আমরা এই হিংসার ঘটনার সঙ্গে বহিরাগতদের যোগের প্রমাণ পেয়েছি। গ্রেফতার হওয়া দুষ্কৃতীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলা ভাষী লোক রয়েছেন। আমরা তদন্ত করে দেখছি যে তারা পশ্চিমবঙ্গ থেকে কী না।' তবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে না হলে কী গ্রেফতার হওয়া সেই দুষ্কৃতীরা অনুপ্রবেশকারী কি না, তা নিয়ে খোলাশা করতে চাননি তিনি।
বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে অশান্তি ছড়ায়
নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভের জেরে বৃহস্পতিবার রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় লখনউয়ের কয়েকটি জায়গা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ও পাথর ছোড়ার পাশাপাশি বিক্ষোভের নামে বেশ কয়েকটি গাড়ি ও বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভরাকারীরা। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে গতকালকের বিক্ষোভ ঠেকাতে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। পুলিশের গুলিতে জখম হয়ে তিনজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। লখনউতে এক বিক্ষোভকারীর মারা যাওয়ারও খবর এসেছে। এদিকে উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি-র দাবি, পুলিশ গুলি চালায়নি। কে গুলি চালিয়েছে, সে ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস ও লাঠি চালায় পুলিশ।